আইনজীবী হত্যার অভিযোগ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মেয়ের বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার করল সিবিআই
হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির মেয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। মহিলার বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরের শ্যুটারকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। বহু দিন ধরেই পুলিশ ওই মহিলাকে খুঁজছিল কিন্তু কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না তাকে। শেষ পর্যন্ত মহিলাকে ধরতে পারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কী জানা গিয়েছে ?
জানা
গিয়েছে
,
যে
মহিলার
বিরুদ্ধে
এই
খুনের
অভিযোগ
তাঁর
নাম
কল্যাণী
সিং।
আর
যাকে
খুন
করার
জন্য
এই
অভিযোগ
তিনি
জাতীয়
স্তরের
শ্যুটার
এবং
আইনজীবী
সুখমনপ্রীত
সিং
ওরফে
সিপ্পি
সিধু।দীর্ঘদিন
ধরে
এজেন্সির
নজরে
ছিলেন
তিনি,
দরকার
ছিল
সঠিক
প্রমাণের।
আসলে
তদন্তের
সময়েই
এই
মহিলার
নাম
উঠে
এসেছিল
কল্যানীর।
তারপর
থেকে
চলছিল
খোঁজ।
মহিলা
এই
হাতে
আসে
তো
তারপরেই
হাতছাড়া
হয়ে
যায়।
এই
লুকোচুরি
চলেছে
মাস
,
দিন
নয়
একদম
বছর।
জানা
গিয়েছে
প্রায়
ছয়
বছর
ধরে
তাকে
ধরার
চেষ্টা
করার
পর
মহিলাকে
খুঁজে
পাওয়া
গিয়েছে।
কী উঠে এসেছিল তদন্তে ?
তদন্তের
সময়
এটাই
উঠে
এসেছিল
যে
"সিধুর
হত্যাকারীর
সাথে
একজন
মহিলা
ছিলেন"।
সেন্ট্রাল
ব্যুরো
অফ
ইনভেস্টিগেশন
বুধবার
ছয়
বছর
আগে
চণ্ডীগড়ে
জাতীয়
স্তরের
শ্যুটার
এবং
আইনজীবী
সুখমনপ্রীত
সিং
ওরফে
সিপ্পি
সিধুকে
হত্যার
অভিযোগে
ওই
মহিলাকে
গ্রেপ্তার
করে।
কে এই কল্যানী সিং ?
অভিযুক্ত,
কল্যাণী
সিং,
হিমাচল
প্রদেশ
হাইকোর্টের
ভারপ্রাপ্ত
প্রধান
বিচারপতির
মেয়ে।
এজেন্সির
এক
আধিকারিক
বলেছেন,
দু'জনের
সম্পর্কে
টানাপোড়েন
চলছিল।
সেটা
একসময়
তিক্ততায়
পরিণত
হয়েছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
সিধু পাঞ্জাবের মোহালিতে সিপ্পি সিধু এলএলবি নামে নিজের ল ফার্ম শুরু করেছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাতে, তাকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গুলি করে হত্যা করে। সিধুর হত্যার পর, তার পরিবার সন্দেহভাজন মহিলার ভূমিকার অভিযোগ করেছিল। পরে স্থানীয় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজনরা। পরবর্তীকালে, চণ্ডীগড় প্রশাসনের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে, সিবিআই ১৩ এপ্রিল, ২০১৬-এ মামলাটি পুনরায় নথিভুক্ত করে।
২০১৬
সালের
সেপ্টেম্বরে,
এজেন্সি
এই
হত্যাকাণ্ডের
সাথে
জড়িতদের
পরিচয়
জানার
জন্য
৫
লক্ষ
টাকা
পুরস্কার
ঘোষণা
করেছিল।
২০২১
সালের
ডিসেম্বরে
এর
পরিমাণ
বাড়িয়ে
১০
লক্ষ
টাকা
করা
হয়।
পাশাপাশি
চলতে
থাকে
অনুসন্ধান।
এর
উপর
ভিত্তি
করে,
সংস্থাটি
অবশেষে
কল্যাণী
সিংকে
জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য
ডেকে
পাঠায়
সিবিআই
এবং
তাকে
গ্রেপ্তার
করে
কারণ
তিনি
নাগাড়ে
কোনও
না
কোনও
কারণ
দেখিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ
এড়িয়ে
যাচ্ছিলেন।
সিবিআই এক বিবৃতিতে বলেছে , "অভিযুক্তকে বুধবার চণ্ডীগড়ের স্পেশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়েছিল এবং চারদিনের পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।"