করোনার চিকিৎসা এবার বাড়িতেই! কার্যত মমতার পথে হেঁটেই নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের মোদী সরকারের
দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই উপসর্গ খুবই অল্প। এই ধরনের রোগীদের হোম আইসোলেশন করা যেতে পারে।
দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই উপসর্গ খুবই অল্প। এই ধরনের রোগীদের হোম আইসোলেশন করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাইল্ড সিম্পটম কিংবা প্রি সিম্পটোম্যাটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বাড়িতেই আইসোলেশন করাব যেতে পারে। এক্ষেত্রে যদি বাড়িতে জায়গা থেকে। এবং বাড়ির অন্যদের সংম্পর্শে সেই ব্যক্তি আসবেন না তা নিশ্চিত করা গেলে হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে উপসর্গের রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাতে হবে। চিকিৎসকরা বলে দেবেন সেই পজিটিভ রোগীকে আদৌ হোম আইসোলেশনে রাখা সম্ভব কিনা। কেননা ৮০ শতাংশ কেসে রোগীদের সেরকম কোনও উপসর্গ থাকে না।
জেলা পর্যবেক্ষক অফিসারদের নজরে রোগীরা
এক্ষেত্রে রোগীরা জেলা পর্যবেক্ষক অফিসারদের নজরে থাকবেন। বাড়িতে চিকিৎসকের পরামর্স মতো হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেতে হবে। জানাতে হবে শারীরিক পরিস্থিতি কেমন আছে।
করোনা রোগীরা চার শ্রেণিতে বিভক্ত
সাধারণভাবে করোনা আক্রান্তদের চার শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। খুব স্বল্প উপসর্গ, স্বল্প উপসর্গ, অসুস্থ ও গুরুতর অসুস্থ। যদি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এবং বুকে ব্যথা হলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালে কাছাকাছি থাকলে, তাঁরা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারবেন।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন বাড়িতে রেখে চিকিৎসার কথা
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কেউ বাড়িতে চিকিৎসা করাতে চাইলে করাতে পারেন। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চিকিৎসা চলতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতে হোম কোয়ারেন্টাইন সব থেকে নিরাপদ। একমাত্র যাঁরা খুব সংকটজনক তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে পারে।