ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ, অভিযোগ গুজরাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে
ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ, অভিযোগ গুজরাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক মহিলাকে বন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গুজরাতের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। গুজরাতের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ও মহমেদাবাদের বিজেপি বিধায়ক অর্জুন সিং চৌহানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, মন্ত্রী ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে বার বার ধর্ষণ করেছে। মন্ত্রীর ভয়ে তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছাড়া। ইতিমধ্যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়ছে। গুজরাত পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই বিষয়ে মন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। গুজরাত বিজেপি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য দিতে অস্বীকার করেছে।
গুজরাতের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
হালদারভাসের গ্রামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, '২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী অর্জুন সিং চৌহান আমার স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। করোনা লকডাউনের সময় আমার স্ত্রীকে প্রায় দেড় মাস বন্দি করে রেখেছিলেন। অর্জুন সিং বিভিন্ন জায়গায় মিটিংয়ের নামে আমার স্ত্রীকে ডেকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, তৎকালীন দলের জেলা সভাপতি ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য আমার স্ত্রীকে বাধ্য করা হয়েছিল।'
গুজরাতের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
বুধবার হালদারভাস গ্রামের প্রাক্তন প্রধান গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে বন্দি করে রাখা ও ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানানো হয়েছে, গ্রামের এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে মন্ত্রী দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। গুজরাতের খেদা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মেহমেদাবাদ তালুকের হালদারবাস গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ প্রথমে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অভিযোগকারীর স্ত্রীকে আটকে রাখার তদন্ত করবে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে। অর্জুন সিং চৌহান এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
তৃণমূলের তীব্র প্রতিক্রিয়া
শুক্রবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস গুজরাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে বন্দি ও দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে সংসদে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়, গুজরাতের এক মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলাকে বন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা তৃণমূলের তরফে করা হয়। তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। সেখানে তিনি গুজরাতের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি টুইটারে জানান, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তবে ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।