গ্যাস সিলিন্ডারের পর এবার ওষুধেও বসবে কিউ আর কোড, জানাল কেন্দ্র
Array
কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ৩০০টি বহুল ব্যবহৃত ওষুধের ব্র্যান্ডে কিউআর কোড বসাবে। এর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং এর খোঁজ মেলার জন্য এমনটা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আনালজেসিক্স, ভিটামিন, ডায়াবেটিস এবং প্রেসারের ওষুধে এটা দেওয়া হবে। এর সিদ্ধান্ত জুন মাসেই নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা নিশ্চিত হয়েছে এই মাসে।
ওষুধের ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে রয়েছে ডোলো, এলেরগা, স্যারিডন, কোরেক্স। সূত্রের খবর বলছে যে ফারমাসিউটিক্যাল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে প্রায় ১৮ মাস। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই বিষয়টি প্রয়োগ করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত নিয়ম পালন করেছে যা রয়েছে ১৯৪৫ এর আইনে।
কোন ধরনের ওষুধে বসবে এই কোড?
মার্চ মাসে মন্ত্রক ডিপার্টমেন্ট অফ ফারমাসিউটিক্যালকে ৩০০টি ওষুধে যে এই কিউআর কোডের বিষয় তা নিয়ে বলেছিল। বলা হয়েছিল যাতে এরকম ৩০০টি ওষুধ বেছে রাখা হয়। দ্য ন্যশনাল ফারমাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি এরপর ওমন ৩০০ টি সাধারণ ওষুধ বেছে নেয়। এর মধ্যে আবার ছিল পেন কিলার, কনট্রাসেপটিভস, ভিটামিন এবং ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রসারের ওষুধ।
ডোলো, এলেরজা, অগমেতিন, স্যারিডন, লিমসি, ক্যালপল, কোরেক্স, থাইরোনর্ম, আনওয়ান্টেড ৭২ এর মতো ব্রান্ড এতে ছিল। এদের বার্ষিক আয় কত তা দেখে এগুলিকে কিউআর কোডের জন্য বেছে নেওয়া হয়।
জুন মাসের ১৪ তারিখে মন্ত্রক বলে যে ওষুধনির্মাতারা যেন এবার তাঁদের কে পণ্যের প্যাকেজের যে প্রিন্ট করছেন তাতে এফিক্স বার এবং কুইক রেসপন্স কোড যেন থাকে। এটা থাকবে প্রাইমারি প্যাকেজিং লেবেলে। সেকন্ডারি প্যাকেজিং লেবেলে সমস্ত ইনফরমেশন থাকবে। মিলবে এর সত্যতা কতটা রয়েছে তাও।
কোন ব্র্যান্ডে থাকবে কিউআর কোড?
ওই ডাটার মধ্যে থাকবে প্রোডাক্ট আইডেন্টিফিকেশন কোড, জেনেরিক নাম, যারা তৈরি করছে তাঁদের ঠিকানা, ব্যাচ নম্বর , তৈরির সময়, ব্র্যান্ডের নাম , এক্সপায়ারি ডেট, ম্যানুফ্যাকচারের লাইসেন্স নম্বর।
কী বলছে ওষুধের ইন্ডাস্ট্রি?
ওষুধের
ইন্ডাস্ট্রি
এই
বিষয়টিকে
বলছে
যে
এটা
যথেষ্ট
ভালো
চিন্তা
ভাবনা।
তবে
তাঁরা
এটাও
বলছেন
এটা
করতে
প্রথমে
কিছু
সমস্যার
মধ্যে
পড়তে
হবে।
ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি
ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি দেশে বেড়েছে। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে এমন সমস্যা রয়েছে। আগে এমনটা ছিল না। ধীরে ধীরে এই সমস্যা বেড়েছে। এখন বড় আকার ধারন করছে। আরও বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নকল ওষুধ। এই সমস্যা সবথেকে বড় হয়ে যাচ্ছে কারণ মানুষের জীবন নির্ভর করে রয়েছ এর উপর। হু বলছে ৩৫ শতাংশ এমন নকল ওষুধ রয়েছে।