মানুষের বিশ্বাস হারাচ্ছে সরকার! কৃষি আইন বাতিলের পক্ষেই সওয়াল অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের
বিশ্বাস হারাচ্ছে সরকার! কৃষি আইন বাতিলের পক্ষেই সওয়াল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জীর
ইতিমধ্যেই কেটেছে ২০ দিনেরও বেশি সময়। তারপরেও কাটেনি জট। এখনও কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। এদিকে দেশব্যাপী আন্দোলনের মাঝেই এবার কৃষি আইন নিয়ে মুখ খুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।
কেন্দ্রকে সন্দেহের চোখে দেখছে সাধারণ মানুষ
করোনা মহামারীর আবহে এই আইন প্রনয়নের রাস্তায় হাঁটা কেন্দ্রের কখনওই উচিত হয়নি বলে দাবি করেন অভিজিৎ বাবু। একইসাথে দেশজোড়া মূদ্রাস্ফীতির বাজারে কৃষিপণ্যের দাম আগামীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়েও বড়সড় অনিশ্চিয়তার বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। আর ঠিক সেই কারণেই কৃষি আইন নিয়ে কৃষক থেক শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই ‘সন্দেহের' চোখে দেখছে কেন্দ্রকে। আর ঠিক সেই ‘অবিশ্বাসের' কারণে ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে গোটা পরিস্থিতি।
কৃষি আইন বাতিলেরই পরামর্শ
অন্যদিকে দেশজোড়া আর্থিক মন্দা , জিডিপি ঘাটতির মাঝে কেন্দ্রে সাময়িক ভাবে কৃষকদের দাবি মেনে কৃষি আইন বাতিলেরই পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজিৎ বাবু। যতক্ষণ না ভারতীয় অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা ফিরছে ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রের খানিক ধীরে চলো নীতি নেওয়া উচিত বলেই তাঁর মত। অন্যদিকে প্রয়োজনে কৃষি আইনের পরবর্তী ভবিষ্যত ঠিক করতে প্রয়োজনে সংসদীয় আলোচনারও প্রস্তাব দেন তিনি।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ
অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, " কৃষি আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটা সঠিক সময় নয়। মানুষ বুঝতে পারছেন না আগামীতে কৃষি পণ্যের দাম কী হবে। এর দ্বারা মানুষ কতটা প্রাভাবিত হবেন সেই বিষয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে এখন সকলেই জানেন বড়মাত্রায় সঙ্কুচিত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এই সমস্ত চিন্তাই মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে।"
এখনও অধরা সমাধান সূত্র
এদিকে ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন ১৫ লক্ষেরও বেশি কৃষক। এদিকে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রায় ৭-৮ দফা বৈঠকের পরেও এখনও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। অন্যদিকে প্রধান তিনটি কৃষি আইনের পাশাপাশি ২৬ টি কৃষিপণ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিতেরও দাবি জানাচ্ছেন কৃষক। অন্যদিকে এখনও কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্র। পাশাপাশি সংসদে এই বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব উঠলেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
কৃষকদের সমর্থনে ২৫ হাজার সেনা শৌর্য চক্র পদক ফেরত দিয়েছেন, ভুয়ো খবরে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি