একসপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ২৬ জনের
একসপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ২৬ জনের
বৃহস্পতিবার বাজ পড়ে বিহারে মৃত্যু হল ২৬ জনের। অধিকাংশ মৃত্যুই উত্তর বিহারে হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাটনার গ্রামাঞ্চল থেকে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একসপ্তাহের মধ্যে বাজ পড়ে তৃতীয়বার গণমৃত্যু হল বিহারে।
এর আগে দু’বার বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে
এর আগে গত ২৫ জুন বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ২২ জেলার ৯২ জনের। এরপর ফের ৩০ জুন পাঁচ জেলায় বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছেন নীতীশ কুমার
বৃহস্পতিবার বাজ পড়ে যে সব জেলায় মৃত্যু হয়েছে সেগুলি হল পাটনা (৬), সমস্তিপুর (৭), পূর্ব চম্পারন (৪), সমস্তিপুর (৩), কাটিহার (৩), শেওহার (২), মাধেপুরা (২) ও পূর্ণিয়া ও পশ্চিম চম্পারন থেকে একজন করে মারা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বজ্রপাতে মারা যাওয়া মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে চার লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে অশান্ত আবহাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান।
মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট অমিত শাহের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি হওয়া এক বিবৃতিতে নীতীশ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকার জন্য সময়ে সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সমস্ত পরামর্শ অনুসরণ করুন। খারাপ আবহাওয়ার সময় বাড়ির অভ্যন্তরে এবং নিরাপদ থাকুন।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার এক টুইটের মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা বজ্রপাতে বিহারে বহু মানুষের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। রাজ্য সরকার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দলগুলি ত্রাণের কাজ করছে।
তিন দিনে নিহত বেশিরভাগ লোক কৃষিক্ষেত্রে কাজ করছিলেন যখন তাঁরা বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সমস্তীপুরে বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে একটি ১২ বছরের ছেলে এবং একটি ১২ বছর বয়সী কিশোরী মারা গিয়েছে, তাদের বাড়ির কাছেই বাজ পড়েছিল। আমি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।'
৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত
এদিকে, আবহাওয়াবিদরা আগামী কয়েকদিন ধরে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন। পাটনা আবহাওয়া কেন্দ্র শনিবার পর্যন্ত সমস্ত ৩৮ টি জেলায় বজ্রপাতের সঙ্গে হলুদ বর্ণের সতর্কতা জারি করেছে। এই হলুদ বর্ণের সতর্কতার শর্ত হল যে চরম আবহাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। বর্জ্রপাতের সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে ৩৮টি জেলার বেশ কিছু এলাকায় এবং তা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার পাটনা আবহাওয়া বিভাগ থেকে দৈনিক বুলেটিন জারি করে বলা হয়েছে বর্ষার টাফ লাইনটি গঙ্গানগর হয়ে পাটনা জুড়ে ইম্ফলের দিকে যাচ্ছিল। বর্ষার মরশুমে বৃষ্টিপাত সাধারণত টাফ লাইনের সঙ্গে জড়িত থাকে।
নিগৃহীতা দলের মহিলা নেত্রী, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ