দাগি, অভিযুক্তরা মন্ত্রী হবে কি না, ঠিক করুন প্রধানমন্ত্রীই: সুপ্রিম কোর্ট
এ দেশে আইনের ফাঁক গলে দাগি অপরাধীরা মন্ত্রী হয়ে যান। আবার দোষী প্রমাণিত হননি, কিন্তু গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, এমন লোকও মন্ত্রীর কুর্সি পেয়ে মুরুব্বি বনে যান। এই অবস্থার অবসান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। মামলাকারীরা বলেছিল, অতীতে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে বা বর্তমানে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত, এমন কাউকে মন্ত্রী করা চলবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট নির্দেশ দিক আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঁচ বিচারপতির সামনে মামলাটি ওঠে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা, বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ এবং বিচারপতি এস এ বোবড়ে বলেছেন, সংবিধান প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের মর্যাদাপূর্ণ স্থান দিয়েছে। তাই সাংবিধানিক নৈতিকতা মেনে তাঁরাই ঠিক করুন, দাগি বা অভিযুক্তদের মন্ত্রীসভায় রাখবেন কি না। জাতীয় স্বার্থেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত নির্দেশ দিচ্ছে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের শুভবুদ্ধির কাছে বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে।
১২৩ পাতার রায়ে পাঁচ বিচারপতি ঐক্যবদ্ধভাবে বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা সাংবিধানিক প্রত্যাশা থাকে। বাকিটা ওঁর শুভবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি আমরা। আমরা এর বেশি কিছু বলছি না, কমও বলছি না।"
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় এখন ১৪ জন আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে বা পুলিশে অভিযোগ রয়েছে। জলসম্পদমন্ত্রী উমা ভারতীর বিরুদ্ধেই ১৩টি ফৌজদারি মামলা আছে। খুনের চেষ্টা অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার বিরুদ্ধেও চারটি মামলা আছে।
'গুরুতর' অপরাধ বলতে খুন, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি বুঝিয়েছে আদালত।