বিধানসভার তলবে এল না, দিল্লি হিংসা ছড়ানোর জন্য কি কোনওভাবে দায়ী ফেসবুকই?
দিল্লি হিংসায় কি দায়ি ছিল ফেসবুকও? এই প্রশ্নই উঠেছে সম্প্রতি। অভিযোগ উঠেছে, হিংসায় মদত দিতে পারে এরকম পোস্ট মুছে দেয়নি ফেসবুক (ইন্ডিয়া)। বিষয়টি তদন্ত করছে দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটি। আজ ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আবার তলব করেছিল এই কমিটি। কিন্তু তারা আসেনি। তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই ফেসবুকের তরফে সংসদীয় কমিটির কাছে সাক্ষ্য জমা দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
শুধুমাত্রই দিল্লির হিংসা নয়। এর আগেও ফেসবুক ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষপাতিত্ব করছে। সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই অভিযোগের জবাব চেয়ে লোকসভার সংসদীয় কমিটির তরফেও সমন পাঠানো হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে।
দিল্লি হিংসায় ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট করা হয়
দিল্লি হিংসায় ফেসবুকে যে উস্কানিমূলক পোস্ট করা হয়েছিল, ফেসবুক সেই পোস্ট আদৌ মুছেছিল কি না খতিয়ে দেখছে দিল্লি বিধানসভার নির্দিষ্ট কমিটি। এই কমিটির অধ্যক্ষ আপ বিধায়ক রাঘব চাড্ডা। সেই সূত্রেই ফেসবুককে তারা তলব করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে বলে। সমন পাঠানো হয় ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট অজিত মোহনকে। তবে আজ ফেসবুকের তরফে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফেসবুকের তরফে বিধানসভার কমিটিকে চিঠিতে জানানো হয়, 'ফেসবুকের কোনও বিষয় খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র। এছাড়াও দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণভার রয়েছে কেন্দ্রের উপরেই।'
রাঘব চাড্ডা ফেসবুকের সমালোচনা করেন
এই বিষয়ে রাঘব চাড্ডা ফেসবুকের সমালোচনা করে বলেন, ফেসবুক দিল্লি বিধানসভার অপমান এবং অবমাননা করেছে। ফেসবুক আজ কেন তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত থাকল না? তবে কি দিল্লি হিংসার জন্য কোনওভাবে ফেসবুক দায়ী? তাদের অনুপস্থিতি উসকে দিচ্ছে সেই প্রসঙ্গকেই। কমিটির তরফে জানানো হয়, 'এটি দিল্লির ঘটনা। ফেসবুক কীভাবে বলল তা কমিটি খতিয়ে দেখার কথা নয়? কমিটির সামনে উপস্থিত না থাকতে চাওয়ার অর্থ দিল্লি হিংসায় ফেসবুকের ভূমিক গোপনের চেষ্টা।'
আলোচনায় দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ
এখন আবার আলোচনায় দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ। সেই হিংসায় কাদের মদত ছিল, চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইনের আওতায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি হিংসায় চার্জশিট
এইদিকে চার্জশিটে রয়েছে সিপিআইএম-এর সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব এবং শিক্ষাবিদ জয়তী ঘোষ ও অপূর্বানন্দের নাম। জয়তী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। অপূর্বানন্দ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
ফেসবুকের মাধ্যমে দিল্লি নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল! প্রাক্তন কর্মীর দাবি ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য