কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : মধ্যবিত্তরা কী প্রত্যাশা রাখতে পারেন নরেন্দ্র মোদী সরকার থেকে?
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : মধ্যবিত্তরা কী প্রত্যাশা রাখতে পারেন মোদী সরকার থেকে?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারতীয় অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উদ্ধার করা। তাছাড়া মধ্যবিত্তের মন যুগিয়ে চলতেও এই বাজেটে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র। পরিসংখ্যান মন্ত্রক পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীর গতি। অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ৭.৩৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বের করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে কেন্দ্রের তরফে।
কর-বিন্যাসের পর্যায় বদল
সূত্রের দাবি আসন্ন বাজেটে নির্মলা সীতারমনের অর্থ মন্ত্রক কর-বিন্যাস ঘিরে বেশ কয়েকটি পর্যায় পেশ করতে পারে। প্রত্যক্ষ কর নিয়ে আসতে চলেছে কয়েকটি 'ফিক্সড ট্যাক্স ব্র্যাকেট।' সেখানে কর ছাড়ে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশের ধাপ রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেই ধাপ রয়েছে ৫,২০,৩০ শতাংশের মধ্যে।
আয়করে কাটছাঁট
এদিকে মানুষের মধ্যে চাহিদা সঞ্চার না করতে পারায় মন্দা রয়েছে বাজারে। দেশের জিডিপি বাড়াতে কর্পোরেট কমানোর পথে আগেই হেঁটেছে সরকার। সেই পথ খুব একটা সাফল্য এনে না দিতে পারায় এবার হয়ত সাধারণ মানুষের হাতে কী করে বেশি টাকা থাকে তার দিকে নজর দেবে সরকার। চাহিদা বাড়াতে ও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হয়ত আয়করের ক্ষেত্রে কিছুটা কাটছাঁট দেখা যেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ক্ষেত্রে স্বস্তি
সরকার দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ক্ষেত্রেও করে স্বস্তি দিতে পারে বলে খবর রয়েছে। অবশ্য এরকম যে কোনও প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা আর্থিক সংকট দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে। এর আগে সেম্পটেম্বর মাসে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তের পর মনে করা হয়েছিল দেশে উৎপাদন বাড়বে। এর ফলে জিডিপিও উর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের পরও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল মুডিজ। তারা জানিয়েছিল এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারের আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে সেই সময় তারা বলেছিল, কর কমানোয় কর্পোরেট ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ে ব্যবসার অগ্রগতি হবে।
বুনিয়াদি শিল্পের বন্ডের ক্ষেত্রে ছাড়
বুনিয়াদি শিল্পের বন্ডের ক্ষেত্রে করে ছাড় দেওয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। সেই অবস্থা সুধরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।