মাত্র ১৫ মাসেই অসাধ্য সাধন, ইডি-র পরিসংখ্যান দেখলে চমকে উঠবেন
গত ১৫ মাসে ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, যা গত ১০ বছরে হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য।
গত ১০ বছরে যা হয়নি, মাত্র ১৫ মাসেই তা করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ১৫ মাসে ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, যা গত ১০ বছরে হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রোজভ্যালির ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, কোথায় কোথায় সেই সম্পত্তি জেনে নিন]
আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করতে নেমে গত ১৫ মাসে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাংওয়ার। মোট ১৭৫টি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার জারি করে এই পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইডি-র ওয়েবসাইটে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সার পর্যন্ত ইডি-র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির পরিমাণ ৯০০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলেন বিজয় মালিয়া। শুধুমাত্র মালিয়ারই ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আরও কয়েকটি হাই প্রোফাইল মামলাতেও বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ নেহাত কম নয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, কালো টাকা উদ্ধার করতে ইডিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার ফলেই এই সাফল্য। তবে একা ইডিকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, সিবিআই, আয়কর দফতরের সহযোগিতাতেই এই সাফল্য এসেছে। ইডির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশজুড়ে ১.৬২ লক্ষ ভুয়ো সংস্থাকে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির বেশিরভাগই ছিল দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে।
[আরও পড়ুন: সিবিআই-র পর এবার ইডি-র জালে লালু, এবার কোন মামলায় জানুন ]