দেশজুড়ে লকডাউন, কবে থেকে অনলাইনে মোবাইল-টিভি কিনতে পারবেন? জানাল কেন্দ্র
দেশে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।
মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি
এদিকে করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে মন্দা চলছে। থমকে রয়েছে অর্থনীতি। প্রায় একই অবস্থা ভারতেও। এর প্রভাব প্রথমে পরোক্ষ ভাবে পড়লেও পরে তা প্রত্যক্ষ ভাবেই পড়তে শুরু করে ভারতের উপর। আর জেরে দেশের বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। ফলে দেশের কোনও উপার্জন হচ্ছে না, প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বহু সেক্টর। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধারের উপায় বের করতেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে ২০ এপ্রিল থেকে বেশ কয়েকটি ছাড়
সরকার বুধবারই লকডাউনের গাইডলাইন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০ এপ্রিল থেকে ছাড় দেওয়া হবে আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের ক্ষেত্রে। ছাড় থাকছে কৃষিকাজ ও কৃষি বিপণন এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কাজ, নির্দিষ্ট কিছু শিল্প ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সাধারণ পণ্য, দুটির পরিবহণেই মিলবে ছাড়।
২০ এপ্রিল থেকে ইলেক্ট্রনিক মাসগ্রীও অর্ডার দিতে পারবেন
এতদিন ই-কমার্সের ক্ষেত্রে শুধউমাত্র অত্যাবশ্যক বস্তু ডেলিভারির উপরই ছাড় ছিল। তবে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানে হয় যে ২০ এপ্রিলের পর থেকে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমন, টিভি, ফ্রিজ বা মোবাইলও ডেলিভারি দিতে পারবে আমাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাগুলি।
আর কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় ?
এছাড়া থাকছে মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি পরিবহণ ও বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। চা, কফির উৎপাদন ও সরবরাহ, এবং রবার বাগানের কাজকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাজ এবং গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, সেচ প্রকল্প, ভবন, শিল্প প্রকল্প নির্মাণের কাজেও মিলবে ছাড়।
কর্মক্ষেত্রে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়লা, খনিজ, তেল উৎপাদন করা যাবে। আরবিআই, অন্যান্য ব্যাংক, এটিএম, সেবি ও বীমা সংস্থাগুলির কাজও চলবে। পাশাপাশি ই-কমার্স, আইটি এবং আইটি-সংক্রান্ত পরিষেবা, হার্ডওয়্যার, প্রয়োজনীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং শিল্পের কাজও শুরু করা যাবে ২০ এপ্রিল থেকে। খোলা রাখা যাবে ডেটা ও কল সেন্টারগুলোও।