রক্ষক যখন ভক্ষক, অপহরণ করে দেড় লক্ষ টাকা আদায় দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের
রক্ষক যখন ভক্ষক, অপহরণ করে দেড় লক্ষ টাকা আদায় দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের
সেলস ট্যাক্স এজেন্টকে অপহরণ করে ১.৫ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পুলিশের দুই কর্মীকে। দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জিটিবি এনক্লেভ থেকে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। টাকা না দিলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়। তার কাছ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। দিল্লি পুলিশ তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু। তদন্তের পর সীমাপুরী থানার দুই কনস্টেবল সন্দীপ ও রবিন এবং ওয়াহিদ নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দিল্লি পুলিশের আর এক কনস্টেবল গৌরব পলাতক।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিত তাঁর পরিবারের সঙ্গে এনক্লেভে থাকেন। তিনি আয়কর বিভাগের সেলস ট্যাক্স এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। ১১ অক্টোবর রাতে নিজের বাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। শাহদারা উড়ালপুল অতিক্রম করার সময় একটি সাদা গাড়ি তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ওই সাদা গাড়িতে তিনজন ছিল। অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে মারতে শুরু করেন। তারাপর তাঁকে সাদা গাড়ির পিছনের সিটে বসিয়েছিল। একজন পুলিশ সেই সময় বলেছিলেন, তিনি ক্রাইম ব্রাঞ্চের। আর একজন তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকায়। তাঁর কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তারা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। দিতে না পারলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। অভিযোগারী জানান, এরপর তাঁকে শাহদারা জেলার স্পেশাল স্টাফের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে এক অফিসারের সঙ্গে কথা বলানো হয় অভিযোগকারী জানিয়েছেন। ওই অফিসার নাকি তাঁকে তালাবন্ধ করে রাখতে বলেছেন। এরপর অভিযুক্তরা জিটিবি হাসপাতালের সার্ভিস লেনে নিয়ে যায় তাঁকে। সেখানে আবার তাঁকে মারধর করা হয়। ভয় দেখানো হয়। অভিযোগকারী জানান, তিনি অভিযুক্তদের বাড়িতে যান। সেখানে অভিযুক্তদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তাতেও অভিযুক্তরা তাঁকে ছাড়তে অস্বীকার করেন। এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ৭০ হাজার টাকা ধার করে অভিযুক্তদের দেন। গৌরব ওরফে আন্না নামের একজন অভিযুক্তের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়। তারপর অভিযোগকারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, ষষ্ঠ ব্যাটালিয়নে নিয়োজিত কনস্টেবল অমিত এই পুরো ষড়যন্ত্রটি করেছিলেন। অভিযুক্ত ওয়াহিদের গাড়ি ব্যবহার করা হয় এবং গৌরবও অপরাধে যোগ দেয়। একজন সাব-ইন্সপেক্টরও এর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং পুলিশ তদন্ত করছে।