'বিচারক লোয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলে ফেলা হয়েছিল' তদন্তে সামনে এল ভয়াবহ তথ্য
বিচারক লোয়া-র মৃত্যু নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেয়। দুই মাসের তদন্তের পর সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।
বিচারক লোয়া-র মৃত্যু নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেয়। দুই মাসের তদন্তের পর সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। নাগপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ জানিয়েছে, লোয়া-র ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নয়ছয় করা হয়েছিল। ক্যারাভ্যান নিউজের তরফে এই দাবি করা হয়েছে।
এক চিকিৎসকের সূত্র মিলেছে যিনি সরকারিভাবে ময়নাতদন্তের কাজে না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলে দিয়েছেন। এমন আরও অনেক রিপোর্ট বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তবে লোয়া-র মৃত্যুর সরকারি ফাইল বা কোনও নথিতে তার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা নেই।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী লোয়ার ময়মনাতদন্ত করেন চিকিৎসক এনকে তুমরাম। তবে পিছন থেকে চিকিৎসক মারাকন্দ ভ্যাওয়াহারে ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি আবার মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মুনগান্তিওয়ারের শ্যালক। এই সুধীর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পরে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী।
তদন্তে উঠে এসেছে, ভ্যাওয়াহারে লোয়ার ময়নাতদন্তের সময়ে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন। নিজে সামনে উপস্থিত থেকে কোনও ঘটনা যেন হাতের বাইরে না যায় তা তিনি নিশ্চিত করেন। লোয়ার মাথার পিছনে চোট লেগেছিল। ময়নাতদন্তের সময় এক জুনিয়র চিকিৎসক সেটা দেখালে তাকে বকাবকি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তে হার্ট অ্যাটাকের কথা লিখে রিপোর্ট তৈরি হয়। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, সত্য গোপন করতেই ভ্যাওয়াহারে প্রথম থেকে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ক্যারাভ্যানের তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, বিচারক লোয়া গুজরাত দাঙ্গার সময়ে সোহরাবউদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা শুনছিলেন। সেখানে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। লোয়ার মৃত্যুর পর ২০১৫ সালে সেই মামলায় বেকসুর খালাস পান তিনি। লোয়ার মৃত্যুর অস্বাভাবিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই নানা প্রশ্ন সামনে এসেছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে।