সপ্তাহে চারদিন কাজ আর তিন দিন ছুটি পেলে কেমন হয়? নিয়ম বদলে নজির গড়ল ভারতের এই সংস্থা
করোনা অতিমারির কারণে কাজের ধরন কিছুটা পাল্টেছে বটে, তবে তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের কাজের চাপ কমেনি এতটুকুও। ঘরে বসে কাজ করতে হলেও দীর্ঘ কাজের সময় কর্মীদের আরও বেশি ক্লান্ত করে দিচ্ছে।
করোনা অতিমারির কারণে কাজের ধরন কিছুটা পাল্টেছে বটে, তবে তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের কাজের চাপ কমেনি এতটুকুও। ঘরে বসে কাজ করতে হলেও দীর্ঘ কাজের সময় কর্মীদের আরও বেশি ক্লান্ত করে দিচ্ছে।
অনেকেই আভিযোগ করেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রে কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে এই অজুহাতে বেশি সময় ধরে কাজ করানো হচ্ছে কর্মীদের।
তাই অনেকেরই প্রত্যাশা কাজের সময় বাড়লে ছুটির দিনও যাতে বাড়ে।
চলছে তিন দিনের ছুটি নিয়ে
তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করতে হয়, ছুটি থাকে শনি ও রবিবার। বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে তিন দিনের ছুটি নিয়ে। অর্থাৎ সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সপ্তাহে চার দিন কাজ করতে হবে ও বাকি তিনদিন ছুটি। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, যে সব দেশে অপেক্ষাকৃত কম সময় বা সপ্তাহে অপেক্ষাকৃত কম দিন কাজ করতে হয়, সেখানে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বেশি। আর যেখানে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয় সেখানে কর্মীদের ক্লান্ত হয়ে যান ও তাঁদের উৎপাদনশীলতা কমে।
সপ্তাহে চার দিন কাজ করতে হবে
এবার ভারতে সাইবার সুরক্ষা সংস্থা 'টিএসি সিকিউরিটি' চালু করল সেই পদ্ধতি। সপ্তাহে চার দিন কাজ করতে হবে ওই সংস্থার কর্মীদের। সংস্থার দাবি, এই ভাবে সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। আপাতত সাত মাসের জন্য এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। সংস্থার মুম্বইয়ের অফিস এই সাত মাস তিন দিন করে বন্ধ থাকবে, শুক্র, শনি ও রবি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা চায় কর্মীদের সামাজিক ও পেশাগত জীবনে সামঞ্জস্য থাকুক। বদলে কর্মীরা আরও প্রানবন্ত হয়ে কাজে যোগ দেবেন। সংস্থার এই ঘোষণার পর অনেক কর্মীই বিভিন্ন কোর্সের জন্য আবেদন করেছেন।
এই সাত মাসে কর্মীদের কাজের উৎসাহ বেড়েছে
যদি দেখা যায় যে এই সাত মাসে কর্মীদের কাজের উৎসাহ বেড়েছে, তাহলে এই নিয়মই স্থায়ী হবে মুম্বই অফিসের জন্য। সংস্থার তরফে কর্মীদের নিয়ে একটা সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, কর্মীদের ৮০ শতাংশই চাইছে সপ্তাহে ৪ দিন বেশি সময় ধরে কাজ করে সপ্তাহের শেষে তিনদিনের ছুটি নিতে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও তৃষ্ণিত অরোরা বলেন, 'কর্মীদের স্বাস্থ্য ও তাদের ভালো থাকার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সংস্থা হিসেবে তরুণ ও তরুণ কর্মীদের নিয়ে কাজ করি। তাই আমরা কর্মীদের নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ করতে পারি।' এই সংস্থার মূল অফিস সান ফ্রান্সিসকোতে।