করোনা সঙ্কটেও রেমডিসিভির নিয়ে দেদার কালোবাজারির অভিযোগ, নড়েচড়ে বসল সরকার
করোনা সঙ্কটেও রেমডিসিভির নিয়ে দেদার কালোবাজারির অভিযোগ, নড়েচড়ে বসল সরকার
প্রত্যহই করোনা আক্রান্তের নিরিখে নতুন রেকর্ড করছে ভারত। যার জেরে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত একাধিক কার্যকরী ওষুধের দাম। সঙ্কট-কালীন অবস্থার সুযোগ নিয়ে দেশের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে কালোবাজারি। সূত্রের খবর, বর্তমানে অনেক জায়গাতেই ৪ হাজারের রেমডেসিভির বিকচ্ছে ৬০ হাজারে।
মহামারীর মাঝেই তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট
কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে সতর্কবার্তা আসে ড্রাগ কন্ট্রোলার ডিপার্টমেন্টের কাছে। এদিকে ভারতে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। অবৈধ ব্যবসায়ীরা এই ওষুধ নিজেদের দখলে নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লির বাজারে রেমডিসিমিরের কালোবাজারের কথা যদিও গত মাসে থেকেই নজরে আসে ড্রাগ কন্ট্রোলার ডিপার্টমেন্টের।
৪০ থেকে ৬০ হাজারেও বিকচ্ছে রেমডিসিভির
এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত কোনও অনুমোদিত ওষুধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কার্যকরী ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছে। এরই একটি হলো রেমডেসিভির। গিলিয়াড সায়েন্সেস-এর তৈরি এ ওষুধটি মূলত ইবোলার চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এর আগে দেশের বাজারে রেমডেসিভিরের প্রত্যেকটি ভায়ালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৪০০ টাকা করে। অথছ সেসবের তোয়াক্কা না করেই কালোবাজরে সেগুলি ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দরেও বিক্রি হয় বলে জানা যায়।
কোন চারটি কোম্পানি তৈরি করে এই ওষুধ ?
এর আগেও বেশ কিছু পরীক্ষায় রেমডিসিভিরের সাফল্যের কথা জানা যায়। করোনা আক্রান্তদের শরীরে রেমডেসিভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে গিলিয়াড সায়েন্স দাবি করে, এই ওষুধ দ্রুত রোগ সারাতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রেমডেসিভির ওষুধটির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে করোনার চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। সিপলা, জুবিল্যান্ট লাইফ, হিটেরো ড্রাগস ও মাইলন নামের চারটি কোম্পানিকে এই ওষুধ তৈরির অনুমতি দেয় গিলিয়াড সায়েন্স।
কালোবাজারিতে যুক্ত ওষুধের দোকানদারেরাও ?
এদিকে কোলাবাজারির সঙ্গে দেশীয় মার্কেটের বড় দোকানের মালিকদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক মহল থেকে খবর মেলে। যদিও অল ইন্ডিয়া কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর মহাসচিব রাজিব সিংহাল একথা নাকচ করেন। এদিকে রেমডেসিভির সংকটে ওষুধের কালোবাজারির বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইণ্ডিয়া ভিজে সোমানি। আগামীতে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সংঘাত এড়িয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করুক দুই দেশ, পরামর্শ চিনা রাষ্ট্রদূতের