দিল্লিতে কংগ্রেস শাসনে একটি অধ্যায় শেষ হল শীলার প্রয়াণে
পর পর তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। দোর্দণ্ড প্রতাপ এই জননেত্রীকে কাবু করতে ১৫ বছর সময় লেগেছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের।
পর পর তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। দোর্দণ্ড প্রতাপ এই জননেত্রীকে কাবু করতে ১৫ বছর সময় লেগেছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের। রাহুল গান্ধী সেকারণেই টুইটে লিখেছেন কংগ্রেসের আদরের মেয়ে ছিলেন শীলা। আপ ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই কিন্তু শীলা দিক্ষিতকে ভুলতে পারেননি দিল্লির মানুষ। চার দশকের রাজনৈতিক জীবনের অবসান হল আজ।
১৯৮৪ সালে লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের কনৌজ থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রথম সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কমিটির প্রধান হয়েছিলেন অনায়াসে। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতা তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে। সেখানে মহিলা কমিশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। এরই মধ্যে আবার ১৯৮৬ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ সামলেছেন তিনি। প্রথমে সংদস বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাঁকে।
তাঁর
রাজনৈতির
জীবন
যে
একেবারে
মসৃণ
ছিল
তা
বলা
যায়
না।
২৩
দিন
জেলও
খাটতে
হয়েছে
কংগ্রেসের
এই
জননেত্রীকে।
১৯৯৮
সালে
রাজনৈতিক
উত্থানের
প্রথম
ধাক্কাটা
আসে।
লোকসভা
ভোটে
পূর্ব
দিল্লির
বিজেপি
প্রার্থী
লাল
বিহারি
তিওয়ারির
কাছে
হারতে
হয়
তাঁকে।
তারপরে
আর
লোকসভা
নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেননি
তিনি।
সরাসরি
চলে
গিেয়ছিলেন
বিধানসভা
ভোটে।
১৯৯৮
সালেই
দিল্লির
মু্খ্যমন্ত্রী
পদ
প্রার্থী
করে
শীলা
দিক্ষিতকে
দাঁড়
করায়
কংগ্রেস।
জয়
ছিল
অবশ্যম্ভাবী।
সেই
যে
দিল্লির
মুখ্যমন্ত্রী
হলেন
তার
পর
পর
পর
তিনবার
একছত্র
শাসন
করেছেন
তিনি।
২০১৩
সালে
প্রথম
পরাজয়
স্বীকার
করে
অরবিন্দ
কেজরিওয়ালের
কাছে।
এরই মধ্যে শীলা দিক্ষিতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ২০০৯ সালে ৩.৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ ছিল শীলা দিক্ষিতের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য সেই অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। বিতর্কেও জড়িয়েছেম একাধিকবার, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জেসিকা লাল হত্যাকাণ্ডে মনু সিংকে নির্দেষ দাবি করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন শীলা। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কমনওয়েলথ গেমসের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল শীলা দিক্ষিতের বিরুদ্ধে।
পর পর এই দুর্নীতির অভিযোগই তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে নিয়ে এসেছিল। যার পরিণতি ২০১৩ সালে আম আদমি পার্টির কাছে গোহারা হারতে হয় শীলা দিক্ষিততে। সেই যে বিদায় নিেয়ছিলেন আর ক্ষমতার আলিন্দে দেখা যায়নি তাঁকেষ ২০১৯ সালে আবার রাহুলের হাত ধরে ফিরেছিলেন তিনি। সেবারই সাফল্য আসেনি। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিতে কংগ্রেস শাসনের একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল।