সাভারকরের বদলে গডসেকেই ভারতরত্ন দেওয়া হোক, বিজেপির ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ কংগ্রেসের
আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য় সম্প্রতী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য় সম্প্রতী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ইস্তেহারে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে তারা সরকার গঠন করলে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে মরনোত্তর ভারত রত্ন দেওয়ার আবেদন জানাবে কেন্দ্রকে। এবার এই প্রতিশ্রুতির কড়া সমালেচনায় নামল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মণিশ তিওয়ারি গতকাল নাগপুরে এক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ এই প্রসঙ্গে করেন। তিনি বলেন, "সাভারকরকে নয়, বরং নাথুরাম গডসেকে ভারত রত্ন দেওয়া হোক।"
মণিশ তিওয়ারি বলেন, "সাভারকরের বিরুদ্ধে তো শুধুমাত্রা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে নাথুরাম গডসে তো সেই হত্যাকাণ্ডকে রূপায়িত করে। এই বছর আমরা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করলাম। আর এই উপলক্ষে এনডিএ সরকার সাভারকরের বদলে সরাসরি নাথুরামকেই ভারত রত্ন দিক।" এরপর একই কথা টুইট করেন তিনি।
গতকাল এই বিষয়ে বিজেপিকে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভিও। তিনি কটাক্ষের শুরে বলেছিলেন, এরপর হয়ত ভারতরত্ন প্রাপকদের নামের মধ্যে নাথুরামের নামও দেখতে পাবে ভারতবাসী। তিনি বলেন, "সাভারকরের ইতিহাস সবার জানা আছে। সাভারকরের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তবে তথ্য প্রমাণের অভাবেই তাকে মুক্ত করা হয়। আজ এই সরকার বলছে যে সেরকম একটি মানুষকে তারা ভারত রত্নে ভূষিত করবে। আমার আশঙ্কা, এরপর আমরা দেখতে পাব যে নাথুরাম গডসেকে ভারত রত্ন দেওয়া হচ্ছে।"
[ নাগাল্যান্ডে পুরুষদের থেকে মহিলা কৃষকের সংখ্যা বেশি ]
দুই দিন আগেই মহারাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করে শাসক দল বিজেপি। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপি কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিজেপির তরফে নির্বাচনী ইস্তেহারকে সংকল্প পাত্র বলে বর্ণনা করা হয়। বিজেপির ইস্তেহার দাবি করে বলা হয়, জ্যোতিবা ফুলে ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীবাই ফুলে এবং বীর সাভারকারকে ভারতরত্ন দিতে হবে। ভারতরত্ন ছাড়াও ইস্তেহারে এক কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে।