জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের রেশ ধরেই অর্ণবের বিরুদ্ধে সোচ্চার কংগ্রেস
জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের রেশ ধরেই অর্ণবের বিরুদ্ধে সোচ্চার কংগ্রেস
রিপাবলিক টিভির টিআরপি কেলেঙ্কারির রেশ ধরেই ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে অর্ণব গোস্বামীর গোপন কিছু বার্তালাপ। বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে অর্ণবের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।আর তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে সরগরম ভারতের রাজ্য-রাজনীতি। এবার তা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিল কংগ্রেস।
বার্কের হাত ধরেই বাণিজ্যিক ফায়দা তুলছিল রিপাবলিক টিভি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মুম্বই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন টিআরপি কেলেঙ্কারীর পিছনে থাকা অন্যতম প্রধান মাথা তথা ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। তার হাত ধরেই টিআরপি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক ফায়দা লুটছিল রিপাবলিক টিভি। এমনকী ভাইরাল হওয়া চ্যাটের সূত্র ধরেই দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল অর্ণবের। পাশাপাশি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার কথাও তিনি আগে থেকে জানতেন বলে ওই চ্যাটের রেশ ধরে জানা যাচ্ছে।
অর্ণবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কংগ্রেসের যুব শাখার
আর এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন যুব স্তর থেকে কেন্দ্রীয় স্তরের কংগ্রেস নেতারা। এমনকী অর্ণবের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগের খবর সামনে এসেছে। এমতাবস্থায় টিআরপির জন্য দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করেছেন অর্ণব, এই অভিযোগেই বর্তমানে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এমনকী এই 'বিখ্যাত' সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছে কংগ্রেসের যুব সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া।
জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করেছেন অর্ণব
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, " মুম্বই পুলিশের চার্জশিটে যে কথোপোকথনের উল্লেখ রযেছে তা দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দেয়। এখান থেকেই পরিষ্কার কী ভাবে ক্ষমতা আর পদের অপব্যাবহার করে আর্থিক তছরুপ চলছে গোটা দেশে। বিচারপতি কেনাবেচা নিয়েও কথাবার্তা চলেছে ওই চ্যাটেই। এমনকী একজন সাংবাদিক ঠিক করছেন মন্ত্রিপরিষদে কে বা কারা জায়গা পেতে পারেন।"
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কপিল সিব্বাল
রণদীপ সুরজেওয়ালার পাশাপাশি এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বালকেও। কেন্দ্রকে নিশানা করে পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর সাফ জবাব, "জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কী ভাবে আপোষ করা হয়েছে তা এই চ্যাট থেকেই পরিষ্কার। সরকারি গোপনীয় নথি যদি কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের কাছে এই ভাবে প্রকাশ করে দেওয়া হয় তবে তা বড়সড় অপরাধ। "