ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে উত্তরাখন্ড, হঠাৎ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মুহূর্তে ধূলিসাৎ একের পর এক দোকান-বাড়ি
এখনও টাটকা উত্তরাখন্ডের স্মৃতি। ভয়ঙ্কর প্রলয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু। চারদিকে শুধুই হাহাকার। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কারণে বেশ কয়েকমাস মাথা তুলে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি এই রাজ্য। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মাস কয়েক আগেও ভয়াবহ তু
এখনও টাটকা উত্তরাখন্ডের স্মৃতি। ভয়ঙ্কর প্রলয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু। চারদিকে শুধুই হাহাকার। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কারণে বেশ কয়েকমাস মাথা তুলে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি এই রাজ্য।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মাস কয়েক আগেও ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনা ঘটে।
একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সেই উত্তরাখণ্ডে। কিছুতেই কাটছে না ফারা! ফের একবার ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে উত্তরাখন্ডে। আছড়ে পড়ল মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তছনছ হয়ে গেল ঘর-বাড়ি, দোকানপাট।
মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের দেবপ্রয়াগে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই ঘটনা ঘটেছে।
যদিও এখনও এই ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর সামনে আসেনি। তবে প্রশাসনের তরফে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যে ভাইরাল সেখানকার ঘটনা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরাখণ্ডের তেহরি গাড়োয়াল জেলার দেবপ্রয়াগ মার্কেটের ওপর নেমে আচমকা নেমে আসে বৃষ্টি।
ভারী ব্ররষ্টি চলে কিছুক্ষণ। এরপরেই আচমকা পাহাড়ের উপর থেকে ধস নেমে আসে। তছনছ হয়ে যায় এলাকার দোকান, বাড়ি। আইটিআই-এর একটি ভবনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কার্যত কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টির দাপটে ভেসে যায় এলাকা।
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে কার্ফু জারি থাকায় বন্ধ ছিল দোকানগুলো। তার ফলেই ক্ষতি অনেকটা কম হয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনার কারণে এখন পর্যটকও নেই। ফলে বড়সড় ক্ষতি সেখানে এড়ানো গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিপর্যয় দল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তেহরি জেলার একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে দেবপ্রয়াগে এমন একটি বিপর্যয় ঘটবে, তা প্রত্যাশিত ছিল না।
এক পুলিশ আধিকারিকা জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা নাগাদ এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামে দেবপ্রয়াগে। জলের গতি ছিল অনেক বেশি। এই ঘটনার পরেই অমিত শাহ ফোন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।
সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।