গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের শিশুরা, আরও বাড়বে বিপদ
গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর ক্লাইমেট চেঞ্চের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে ভারতীয় শিশুদের উপর।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর ক্লাইমেট চেঞ্চের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে ভারতীয় শিশুদের উপর। প্রভাব এতটাই প্রকট হচ্ছে যে তাঁদের জীবন সংশয় পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। আজ যারা জন্মাচ্ছে তাদের বয়স যখন ৭১ হবে তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। এতোটাই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে শৈশব।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বাড়ছে অপুষ্টি
ভারতীয় শিশুদের অপুষ্টির অন্যতম কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং। একই কারণে বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধিও। ল্যান্সেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ২০১৯ সালের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, খাদ্য শস্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। সেকারণেই ভারতীয় শিশুদের অপুষ্টির পরিমান বাড়ছে। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্চের কারণে নানা রকম সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। ডায়রিয়া, মশা বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে ভারতীয় শিশুদের মধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২ বছর ধরে বিহারে এনসেফ্যালাইটিসে শিশু মৃত্যর সংখ্যা মারাত্মক রকমে বেড়েছে।
ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর ক্লাইমেট চেঞ্চের কারণে গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়ঙ্কর রকম ভাবে বে়ড়েছে। বন্যা , খরা, দাবানলের মত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে শরীর স্বাস্থ্যেই। আবহাওয়ার পরিবর্তন ঠিক সহ্য করতে পারছে না ভারতীয় শিশুরা। কারণ অপুষ্টির কারণে তাঁরে এই বিরূপ পরিস্থিিতর সঙ্গে লড়াই করার শক্তি তৈরি হচ্ছে না।
শিশুদের ইমিউনিটি পাওয়ার কমছে
গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণেই ভারতীয় িশশুরা অপুষ্টিতে ভুগঠে। পর্যাপ্ত আহার জুটছে না তাঁদের। তার উপর সচেতনতার অভাবে ঠিক মত যত্নও হয়নি শিশুদের। সেকারণেই প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে তারা। সেকারণেই ডেঙ্গি, ডায়রিয়া, ভাইরাল ফিবারের মত ব্যাধ্যির সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি কমে যাচ্ছে তাঁদের। এই দুর্বলা তাঁদের সারা জীবন বহন করতে হচ্ছে। প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ভারতীয় এই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারছে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।