উচ্চ রাজস্ব ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতিতের মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি সুরক্ষিত! কেন্দ্রকে প্রশ্ন চিদাম্বরমের
উচ্চ রাজস্ব ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতিতের মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি সুরক্ষিত! কেন্দ্রকে প্রশ্ন চিদাম্বরমের
ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা মোটেই ভালো নয়। উচ্চ রাজস্ব ঘাটতি, মু্দ্রাস্ফীতি ও বিশ্বের বাজারে ক্রমাগত ভারতীয় মুদ্রার মূল্যের পতন দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ওপর আঘাত হানছে। 'এটাই কি দেশের দেশের অর্থনীতির গোলাপি স্বাস্থ্য?' কেন্দ্রের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
অর্থনীতিতে ‘গোলাপি’ শব্দের অর্থ
অর্থনীতিতে 'গোলাপি' বা 'পিঙ্ক' শব্দটি ইতিবাচক মন্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থনীতির সর্বোত্তম অবস্থা বোঝাতে 'গোলাপি' কথাটা ব্যবহার করা হয়। সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে গোলাপি রঙকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেখান থেকেই সর্বোত্তম অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝাতে 'গোলাপি' শব্দটা ব্যবহার করা হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ব্যাঙ্গার্থক হিসেবে যে 'গোলাপি' শব্দটা ব্যবহার করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে পি চিদাম্বরমের মন্তব্য
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পি চিদাম্বরম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। চলতি বছরে রাজস্ব ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। এর জন্য পি চিদাম্বরম কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্র সরকার এফডির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল ৬.৪ শতাংশ। কয়েকমাসের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে হয়। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এফডি ৬.৭ শতাংশে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এফডি-র বৃদ্ধি, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ভারতীয় মুদ্রার মূল্যের ক্রমাগত পতনের সঙ্গে দেশে বৈদেশিক মু্দ্রার ভাণ্ডার কমছে। এইগুলো কী নির্দেশ করে? ভারতীয় অর্থনীতি 'স্বাস্থ্যের গোলাপি' অবস্থায় রয়েছে? কংগ্রেস নেতারা বার বার দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা করেছেন।
ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
যদিও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, কৃষি উৎপাদন ও পুনরুজ্জীবিত গ্রামীণ অর্থনীতির জেরে চলতি অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতি ৭-৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। বি আর আম্বেদকর স্কুল অফ ইকোনমিক্সের ভাইস চ্যান্সেলর এনআর ভানুমূর্তি বলেন, বৈদেশিক মু্দ্রাস্ফীতির চাপ ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক পরিকাঠামো আগের থেকে উন্নত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি কৃষি উৎপাদন ও পুনরুজ্জীবিত গ্রামীণ অর্থনীতিকে উল্লেখ করেছেন। নানা বাধার পরও দেশের অর্থনীতি ৭-৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। যদিও ফরাসি অর্থনীতিবিদ গাই সাপমান অন্য কথা বলেছেন। তিনি মনে করছেন, ব্যাপক পরিমাণে তেল ও সার আমদানির প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতে।
সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন , বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্তের জন্য জেড কেটাগরির নিরাপত্তা