স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭৫ জন বিস্মৃত বীর যোদ্ধাকে স্মরণ, প্রদর্শনী শিবিরের আয়োজন কেন্দ্রের
ভারত সরকার স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশের বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে এক নয়া উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের কয়েকটি যোদ্ধার নাম সামনে আসে। কিন্তু ভারতের অসংখ্য যোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা এসেছে। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের জন্য সংগ্রহশালা প্রদর্শনীর জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ৭৫ জন অজ্ঞাত স্বাধীনতা সংগ্রামীর লড়াইয়ের কাহিনী স্থান পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়েদ্দার, ১৮৯৪ সীলে মুণ্ডা বিদ্রোহে বিরষা মুণ্ডা, ১৯১০ সালে হাওড়া-শিবপুর মামলায় যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সহ দেশের ৭৫ জন বীর যোদ্ধাদের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই সংগ্রহশালা সাধারণ মানুষের জন্য প্রদর্শনীর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালে এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর জন্য এই প্রদর্শনীটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনের সময় মেঘওয়ালে জানান, এই প্রদর্শনীতে দেশের ৭৫ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর লড়াইয়ের কথা জানা যাবে। তাঁদের কথা দেশের বেশিরভাগ ভারতীয় জানেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের একাধিক তথ্য তুলে ধরা হবে। এই প্রদর্শনীতে মূলত সরকারি নথি, কার্টোগ্রাফিক রেকর্ড, সংবাদপত্র, ব্যক্তিগত কাগজপত্র, সমসাময়িক ফটোগ্রাফ, ভারতের ন্যাশনাল আর্কাইভে রাখা একাধিক সাহিত্য। যে সাহিত্য সেই সময় ভারতে নিষিদ্ধ ছিল। ন্যাশনাল আর্কাইভের ডিজি চন্দন সিনহা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু কম পরিচিত ঘটনা এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে কেন্দ্র সরকার একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৭৫ সপ্তাহ আগে ১২ মার্চ ২০২১ সালে গুজরাতের সবরমতী আশ্রম থেকে পদযাত্রার মাধ্যমে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর সূচনা করেন। ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষকে সামনে রেখে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম অজ্ঞাত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ের কাহিনী সামনে আনা। যাঁদের আত্মত্যাগ এই বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতাকে বাস্তবের রূপ দিতে সমর্থ হয়েছিল।
এই থিমের অধীনেই ইতিমধ্যে বিরসা মুণ্ডা জয়ন্তী, শহিদ দিবস পালন করা হয়। নেতাজির স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকারের ঘোষণার বিষয়ে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। যা নতুন সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।