চাপের মুখে সিবিাইয়ের দ্বারস্থ যোগী, হাথরাস কাণ্ডের তদন্তভার হস্তান্তরের ঘোষণা
হাথরাস কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার ঘটনায় এবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করল। সেই দাবি মানা হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই তদন্তের দায়ভার বর্তমানে সিবিআই এর হাতে তুলে দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ঘরে বাইরে, চতুর্দিকে চাপের মুখে পড়েই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
হাথরাসের ঘটনায় বারবার পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ঘরে বাইরে চাপে পড়েই শুক্রবার হাথরাসের এসপি এবং ডিএসপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এর আগে বারংবার প্রশাসনের অকর্মন্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে।
হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় দেশ। মঙ্গলবার নির্যাতিতার মৃত্যুর পর রাজনৈতিক তরজাও বেড়েছে কয়েক গুণ। আর এরপরই মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তারা নির্যাতিতার পরিবারকে আটকে রেখে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। যার জেরে বিরোধীদের নিশানায় ফের এসে পড়েন যোগী আদিত্যনাথ।
এর পরই উত্তরপ্রদেশের মখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যবাথকে সরাসরি ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ চেয়ে যোগীকে নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর চাপের মুখেই হাথরাস কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের ঘোষণা করেন যোগী। তবে তাতেও বিতর্ক থামেনি।
এদিকে এই আবহেই এদিন ফের রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী হাথরাসে যেতে চাইলে তাদের প্রথমে আটকে দেওযা হয়। পরে অবশ্য চাপের মুখে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সহ পাঁচজনকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওযার অনুমতি দেওয়া হয়।