আপনার EPFO অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত কি? গোপন তথ্য বিক্রির অভিযোগে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা
আপনার EPFO অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত কি? গোপন তথ্য বিক্রির অভিযোগে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা
সরকারি কর্মী হিসেবে মাস গেলে মোটা টাকা মাইনে পাচ্ছেন। সঙ্গে বাড়তি অর্থলাভের (money) লোভ সামলাতে পারছেন না অনেক সরকারি আধিকারিকই। সেরকমই অভিযোগ উঠেছে ইপিএফও (EPFO)-র বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সিবিআই (CBI) এই ধরনের অন্তত ২০ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অর্থলাভের অভিযোগ
নিজের দায়িত্ব পালন দূরে থাক, বেসরকারি পিএফ পরামর্শদাতাদের সরকারি গোপন তথ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোর পড়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে। ইপিএফও-র ২০ জনেরও বেশি অফিসারের বিরুদ্ধে পেটিএম, ফোন পে এবং গুগল পে-র মাধ্যমে অর্থপাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
খবর পেতেই হানা ভিডিল্যান্স বিভাগের
বেশ
কিছুদিন
ধরেই
খবর
আসছিল
ইপিএফভ-এর
বেশ
কয়েকজন
আধিকারিক
অসদুপায়
অবলম্বন
করেছেন।
এরপরেই
গুন্টুরের
ইপিএফও-র
আঞ্চলিক
ফাঁদ
পাতে
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী
সংস্থা
সিবিআই।
তাদের
সঙ্গে
ছিল
ইপিএফও-র
ভিজিল্যান্স
বিভাগও।
সেই
সময়
বেশ
কয়েকজনের
মোবাইলও
বাজেয়াপ্ত
করা
হয়।
সিবিআই-এর
তরফে
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানানো
হয়েছে,
অন্ধ্রপ্রদেশের
গুন্টুর,
চিরালা,
বিজয়ওয়াড়া-সহ
বেশ
কয়েকটি
জায়গায়
থাকা
অফিস
ও
আধিকারিকদের
বাসস্থানের
৪০
টি
জায়গায়
অভিযান
চালানো
হয়ে।
সেইসব
জায়গা
থেকে
বেশ
কিছু
আপত্তিকর
নথি
উদ্ধার
করা
হয়েছে।
তথ্য পাচারের অভিযোগ
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এর পর ফোন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই সব আধিকারিকরা ইপিএফও-র সুবিধাভোগীদের ইউএএন, পাসোয়ার্ড, ওটিপি সরবরাহ করেছিলেন বেসরকারি পিএফ পরামর্শদাতাদের কাছে। এর ওপর ভিত্তি করেই সিবিআই-এর বিখাশাপত্তনম শাখা অভিযুক্ত ইপিএফও আধিকারিক, বেসরকারি পিএফ পরামর্শদাতাদের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের করেছেন।
আগেও ইপিএফও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর আধিকারিক এবং পিএফ-এর বেসরকারি পরামর্শদাতাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সরকারি কাজের পরিবর্তে বিভিন্ন সুবিধার লেনদেন হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা পেটিএম-সহ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেই সুবিধা পেয়েছেন। ফোন পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, আধিকারিকরা ইউএএন, পাসোয়ার্ড শেয়ার করার পরে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করা আর্থিক লেনদেনের স্ক্রিন শটও পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মুম্বইতে ইপিএফ-এর ১৮ কোটি টাকার জালিয়াতির তদন্তে চারটি জায়গায় হওয়া তল্লাশিতে ১৩.৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকশো পড়ে থাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে নিষ্পত্তি দেখিয়ে সংস্থার ১৮ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ ওঠার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছিল গত বছর। বন্ধ থাকা কোম্পানির কর্মী হিসেবে টাকা তোলার জাল আবেদনপত্র দাখিল করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর পিছনে ইপিএফওর বেশ কয়েকজন আধিকারিক যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন।