ক্যাম্পা কোলার অবৈধ আবাসন ভাঙতে বাধা, উচ্ছেদ বন্ধ করতে বিএমসিকে অনুরোধ আবাসিকদের
উচ্ছেদ আটকাতে একে অপরের হাত ধরে একটি সীমারেখা তৈরি করে দিলেন আবাসনের বাসিন্দারা। মানবশৃঙ্খল গঠন করেন বিএমসি আধিকারিকদের আপ্রাণ চেষ্টা চালালেন তাঁরা। বিএমসির বিরোধিতায় স্লোগানও দেওয়া হয়। হাত জোর করে বিএমসি আধিকারিকদের ফিরে যেতে অনুরোধ জানান তাঁরা। ক্যাম্পা কোলার আবাসন চত্ত্বরে খোলা আকাশের নীচে যজ্ঞ পর্যন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন : মুম্বইয়ের অবৈধ নির্মান,উচ্ছেদকাজে বাধা আবাসিকদের
আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তির নিঃশ্বাস ক্যাম্পা কোলার বাসিন্দাদের
আরও পড়ুন : ক্যাম্পা কোলা আবাসন ভাঙাতে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতের
যদিও এত কিছুর পরেও বিরত করা যায়নি বিএমসি আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই শী৪য আদালতের আদেশ মেনে উচ্ছেদের পক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন বিএমসি আধিকারিকরা। এরমধ্যেই কেটে দেওয়া হয়েছে ফ্ল্যাটগুলির জল, বিদ্য়ুৎ ও গ্যাসের লাইন। শান্তিপূর্ণ ভাবে উচ্ছেদের কাজ চালানোর জন্য বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আবাসন চত্ত্বরে।
এদিকে শুক্রবার কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু টুইট করে বলেন, আমরা কী করতে পারি? বিষয়টি আদালতের অধীনে রয়েছে এবং অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে বিষয়টা। বাসিন্দাদের সমবেদনা জানাই।
বাধা দেওয়ার জন্য বাসিন্দেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে বিএমএস
গত ১২ নভেম্বরও মুম্বইয়ের এই আবাসনের ১০৩টি অবৈধ ফ্ল্যাটের উচ্ছেদ নিয়ে দিনভর নাটকীয় পরিস্থিতি চলতে থাকে। এদিন নিজেদেরকে ঘরের ভিতর আটক করে,আবাসনের গেটের বাইরে গাড়ি রেখে পুর ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রবেশ পথ আটকে নানা উপায়ে আধিকারিকদের আটকানোর চেষ্টা চালান বাসিন্দারা। এরপর আবাসনের বেআইনি নির্মান ভাঙার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। জানানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ভাঙা যাবে না আবাসনের বেআইনি নির্মাণ।
এদিকে মেয়াদ শেষ হয়ে আসার মে মাসের মাঝামাঝি বাসিন্দারা আদালতের কাছে আবাসনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত সে দাবি খারিজ করে দেয়। এবং বেআইনি নির্মান ভাঙার চূড়ান্ত দিন ধার্য হয় ২০ জুন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে ক্যাম্পা কোলা সোসাইটি চত্ত্বরে পৌছয় বিএমএস আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন বাসিন্দারা। বিএমএসের আধিকারিকদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিতে চাননি তাঁরা। উচ্ছেদের প্রথম পর্যায় এমসিজিএম ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ, জলের লাইন ও গ্যাসের পাইপ কেটে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় বারান্দা ভাঙার পর শুরু হবে ফ্ল্যাটের দেওয়াল ভাঙার কাজ।