সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তির নিঃশ্বাস ক্যাম্পা কোলার বাসিন্দাদের
নির্মাতার ভুলের মাশুল আমরা গুনব কেন? ক্ষোভ ক্যাম্পা কোলার বাসিন্দাদের
এদিন সকাল থেকেই আবাসনে পরিবেশ ছিল উত্তপ্ত। গতকালের মতো এদিনও পুর ও পুলিম কর্মীদের আবাসনে প্রবেশে বাধা দিতে লোহার মূল দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বাসিন্দারা গাড়ি দিয়ে আটকে রেখেছিল প্রবেশ পথ। এর পরই এদিন আবাসনের ভিতরে প্রবেশ করছে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় লোহার দরজা। গাড়ির উপর দিয়ে টপকে টপকে আবাসনের মধ্যে প্রবেশ করেন পুলিশ ও পুরকর্মীরা। বাধা দিতে শুরু করেন আবাসনের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। কার্যত খণ্ডযুদ্ধ লেগে যায় পুলিশ ও বাসিন্দাদের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ আসার পরই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন বাসিন্দারা।
বৃহন্মম্বাই পুরনিগম সোমবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাতে বলা হয়েছিল বেআইনি নির্মাণের জল ও বিদ্যুত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল। এর পর মঙ্গলবারই আবাসনে ঢুকে বেআইনি ফ্ল্যাটগুলি থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করতে যায় পুর ও পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু বাসিন্দাদের বিরোধের মুখে পড়ে ফিরে আসে তারা। বুধবার প্রচুর সংখ্যক পুলিশ নিয়ে আবাসনে প্রবেশ করে পুর কর্মীরা।
২০০৫ সাল থেকে এই ক্যাম্পা কোলা আবাসিকদের সঙ্গে আইনি লড়াই চলে আসছে। প্রথমে জল সংযোগ ও নিয়মিতকরণের দাবী নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবাসিকরা। আদালত তৎকালীন পুর কমিশনারকে এবিষয়ে সময়ভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশও দিয়েছিল।
পুর কমিশনার নির্মাতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে ওই আবাসনের পাঁচ তলার উপর থেকে ১০২টি ফ্ল্যাট উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বলা হয়, নির্মাতার কাছে পাঁচ তলা পর্যন্ত নির্মানের অনুমতি ছিল, কিন্তু তা অমান্য করেই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এই তা বেআইনি। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন নির্মাতাদের ভুলের মাশুল তাঁদের গুনতে হবে কেন?