গুজরাতে ভোটের আগের দিনও 'কনফিউজড' সাট্টা বাজার, বিজেপি না কংগ্রেস কার পাল্লা ভারী
গুজরাতে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগের দিনও বিজেপি না কংগ্রেস কার পাল্লা ভারী তা বোঝা যাচ্ছে না।
গুজরাতে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগের দিনও বিজেপি না কংগ্রেস কার পাল্লা ভারী তা বোঝা যাচ্ছে না। রাজনীতির বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে আমজনতা এমনকী জুয়ারিরাও ঠাহর করতে পারছে না কারা জিতবে গুজরাতে এবারের বিধানসভা নির্বাচন। সেজন্য গত কয়েকদিন ধরে সাট্টার বাজি পুরোপুরি নাকি বন্ধ হয়ে রয়েছে গুজরাতে।
[আরও পড়ুন:রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নালিশ কমিশনে]
প্রাথমিকভাবে ধারণা ছিল বিজেপি এবারও গুজরাত ভোটে জয়লাভ করবে। কংগ্রেস কোনওভাবেই জিততে পারবে না। আর সেজন্য সাট্টা বাজারে বিজেপির দর অনেক বেশি ছিল। এদিকে কংগ্রেসের দর কম। তবে এই দলের হয়ে টাকা লাগালে ফিরতে কয়েকগুণ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
তবে এখন এমনই অবস্থা যে সত্যিই কারা গুজরাতের ভোটযুদ্ধে জিততে চলেছে তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু কংগ্রেস নয়, হার্দিক প্যাটেল অল্পেশ ঠাকোর থেকে শুরু করে বিরোধীরা যেভাবে বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে তাতে বিজেপির যেটুকু আশা সাট্টাবাজারে ছিল তা কমে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে সাট্টা বাজার অনুযায়ী বিজেপি-কংগ্রেস প্রায় এখন একসারিতে রয়েছে। তাই দর নেওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
প্রথম দফার নির্বাচনে কোনও দলের পাল্লা ভারী বলে আপাতভাবে উঠে আসেনি। দ্বিতীয় দফায় শহরাঞ্চলে বিজেপির দাপট বেশি। তবে কংগ্রেসও আগের চেয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে ফিরে এসেছে। ১৮ ডিসেম্বর ফলাফলের দিন কী হবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না।
এর আগে জানা গিয়েছিল, গুজরাত ভোট উপলক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকার সাট্টা বাজার তৈরি হয়েছে। এক টাকায় বিজেপির জয়ে পাওয়া যাচ্ছিল ১.২৫ টাকা। অন্যদিকে কংগ্রেসের দর ছিল ১ টাকায় ২ টাকা।
যদিও বুকিদের অধিকাংশই বলছে, বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত। ২০১২ সালে বিজেপি ১১৯টি আসন পায়। আর এবার কী হবে? একটি অংশ বলছে, বিজেপি ১১৮টির মতো আসন পাবে। আর একটি অংশের মত, বিজেপি পাবে ১০০টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পাবে ৮০টি আসন। তবুও সাট্টা বাজার নাকি অনিশ্চয়তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মোদী বনাম রাহুল, কার হার, কার জিত, নজর রাখুন ১৮ ডিসেম্বর, দেখুন '২ স্টেটস-এর লড়াই']