ভোটে হেরে বিজেপির নয়া ‘গেম’ শুরু, কর্নাটকের পর টার্গেট এখন কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশ
সাম্প্রতিক সমস্ত বিধানসভা নির্বাচনেই মুখ থুবড়ে পড়ছে বিজেপি। দেড় বছরের মধ্যে পাঁচটি রাজ্য হারাতে হয়েছে। একটি রাজ্য ছাড়া ৯টি রাজ্যের নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। এই অবস্থায় বিজেপি ফের দখলদারি রাজনীতিতে ফিরছে। ভোটে হেরেও সরকার দখল করে নিতে সিদ্ধহস্ত হচ্ছে বিজেপি। কর্নাটকের পরে বিজেপির টার্গেট মধ্যপ্রদেশ।

পতনের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি
মধ্যপ্রদেশে মঙ্গলবার গভীর রাতে একপ্রস্থ রাজনৈতিক নাটক উপস্থাপিত হয় কর্নাটকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারের পতনের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। বিজেপি অসদুপায় অবলম্বন করে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। সেই জন্যই আটজন বিধায়ককে হরিয়ানার একটি হোটেলে নিয়ে রেখেছিল বিজেপি।

কর্নাটকের পর মধ্যপ্রদেশ
এর আগে একইভাবে কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে সরিয়ে কর্নাটকে এখন বিরাজ করছে ইয়েদুরাপ্পা সরকার। এবার ২০১৯ নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারায় বিজেপি। কংগ্রেসের কাছে হার মানতে হয় শিবরাজ সিং চৌহানকে। নির্দল ও বিএসপি বিধায়কদের সমর্থনে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ে কংগ্রেস।

কংগ্রেসকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর বিজেপি
এখন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে বিজেপির কাছে আর শরিকদের ভাঙানোর জায়গা নেই। এবার কংগ্রেসকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর বিজেপি তাই অন্য গেম শুরু করে দিল। কংগ্রেস ও নির্দল বিধাকদের অপহরণ নিয়ে নতুন নাটক এখন জমজমাট পর্যায়ে। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, বেআইনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপি প্রলোভন দিতে শুরু করছে।

শিবরাজ চৌহান খারিজ করলেন দাবি
বিরোধী বিজেপি দলের পক্ষে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান এই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন। পাটোয়ারির অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র, ভূপেন্দ্র সিংহ এবং রামপাল সিংহসহ বিজেপির প্রবীণ নেতারা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আটজন বিধায়ককে জোর করে হরিয়ানার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়েছিলেন।

কংগ্রেস বিধায়কদের ওরা কিনতে পারবে না
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকার ভাঙতে পারবেন না ওরা। আমার বিশ্বাস কংগ্রেস বিধায়কদের ওরা কিনতে পারবে না। কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ানায় নেওয়া আটজন বিধায়কদের মধ্যে চারজন কংগ্রেসের, একজন স্বতন্ত্র এবং বাকিরা বিএসপি ও এসপি থেকে রয়েছেন।