এটা দেশ, কোনও সরাইখানা নয়! অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বার্তা স্পষ্ট করলেন জেপি নাড্ডা
দেশের মাটিতে কোনও অনুপ্রবেশকারীকেই বসবাস করতে দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। বোকারোয় তিনি বলেছেন, সময় আসবে যখন দেশে কোনও অনুপ্রবেশকারীই থাকতে পারবে না।
দেশের মাটিতে কোনও অনুপ্রবেশকারীকেই বসবাস করতে দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। বোকারোয় তিনি বলেছেন, সময় আসবে যখন দেশে কোনও অনুপ্রবেশকারীই থাকতে পারবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চলে যেতে হবে। আর হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, যাঁদের বাইরে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে, তাঁদেরকে আশ্রয় দেবে ভারত। এটা দেশ, কোনও সরাইখানা নয়। বলেছেন নাড্ডা।
বোকারোয় বিজয় সংকল্প যাত্রায় বিজেপি কর্মীদের সামনে ভাষণ দিচ্ছিলেন জেপি নাড্ডা। অনুষ্ঠানে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এবং এবং অন্য বিজেপি নেতারা হাজির ছিলেন।
সরব জেপি নাড্ডা
নিজের ভাষণে, নাড্ডা আরও বিভিন্ন ইস্যু, যেমন সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, প্রধানমন্ত্রী নিউস্টন সফর এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনি আগেকার কথা মনে করা হয়, তাহলে দেখা যাবে প্রায় ৫ বছর আগে দুর্নীতি ছিল পুরোদমে। ভঙ্গুর সরকার এই পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছিল।
এনআরসি নিয়ে অমিত শাহ
অন্যদিকে বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রবল বাধা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, অসমের মতোই সারা দেশে এনআরসি লাগু করা হবে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সেখানে গিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সেখানেও এনআরসি লাগু করা হবে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অমিত শাহ বলেছিলেন, কেন্দ্রের তরফে হিন্দু, জৈন, বুদ্ধিস্ট এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অনুপ্রবেশকারীকেই দেশে স্থান দেবে না।
মমতাকে আক্রমণ অমিত শাহের
নাগরিকত্ব বিলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ ছিল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসির ফলে হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য ছাড়তে হবে, এমনই প্রচার করছে তৃণমূল, অভিযোগ করেছিলেন অমিত শাহ। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৌন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টারদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, এঁদের কাউকেই দেশত্।াগ করতে হবে না।
বিজেপি কর্মীদের কাছে আবেদন করে তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে প্রচার করে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য।