নেশাগ্রস্ত VIP-দের জন্য এলাহি বন্দোবস্ত! নীতীশের রাজ্যে বরাদ্দ আরামদায়ক সোফা-এসি সঙ্গে আরও অনেক কিছু
নেশাগ্রস্ত VIP-দের জন্য এলাহি বন্দোবস্ত! নীতীশের রাজ্যে বরাদ্দ আরামদায়ক সোফা-এসি সঙ্গে আরও অনেক কিছু
বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই মদ নিষিদ্ধ। তবুও সেখানে আড়ালে আবডালে চলে নেশার জিনিস বিক্রি। সেখানে ভিআইপিরা বাদ যান না। তারাও তো মানুষ। তবে জনসমক্ষে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়লে এইসব ভিআইপিদের জন্য এলাহি বন্দোবস্ত করেছে বিহারের আবগারি দফতর। মদহীন বিহারে ভিআইপিদের ২৪ ঘন্টা রাখার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাকে ভিআইপি সেলের সঙ্গে তুলনা করলে খুব বেশি বলা হবে না।
|
কেন ভিআইপি সেল
বিহারের আবগারি সুপারইনটেন্ডেন্ট এসকে চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারি কর্মী, জন প্রতিনিধি এবং সমাজের উচ্চবিত্তরা, যাঁরা মদ খেয়ে ধরা পড়বেন, তাঁদের রাখার জন্য এই ভিআইপি সেল তৈরি করা হয়েছে। এইসব ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য দুটি বিছানা, সোফা, টেবিল এবং প্রশিক্ষিত কুকুরেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সবই তৈরি করা হয়েছে সমস্তিপুরের আবগারি দফতরে।
|
সরব সাধারণ মানুষ
ভিআইপিদের সঙ্গে সাধারণের তফাত আজন্মকাল। সেখানে সেই ব্যক্তি মদ খান বা নাই খান। ধরা পড়ুন বা নাই পড়ুন। তবে যে রাজ্যে মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেই রাজ্যে মদ খেয়ে ধরা পড়লে ভিআইপিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
২০১৬ থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ
নীতীশ জমানায় ২০১৬ থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। উৎপাদন ও বিক্রির ওপরে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মজুত করা, সঙ্গে নিয়ে যাওয়াও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই নিষেধাজ্ঞাও দমাতে পারেনি সেখানকার সুরা প্রেমীদের। প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র মদ খাওয়ার জন্য জেলে যান।
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার পরে সংশোধনী
এনভি রামানা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকার সময় মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিহার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২০১৬ সালে বিহারে মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আদালতের ওপরে চাপ বাড়িয়ে গিয়েছে। তারপরেই সেখানে লিকার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনা হয়। এই বছরের মার্চে তা বিধানসভায় পাশও হয়ে যায়। পয়লা এপ্রিল থেকে যা লাগু হয়েছে।
প্রথমবার ধরা পড়লে জরিমানাতেই ছাড়
এই
সংশোধনীতে
বলা
হয়েছে,
প্রথমবার
যাঁরা
মদ
খেয়ে
কিংবা
মদের
সঙ্গে
সংযোগে
ধরা
পড়বেন,
তাঁরা
জরিমানা
দিয়ে
ডিউটি
ম্যাজিস্ট্রেটের
কাছ
থেকে
জামিন
পেয়ে
যাবেন।
এই
জরিমানার
পরিমাণ
২
হাজার
থেকে
৫
হাজার
টাকা
পর্যন্ত।
এব্যাপারে
যদি
কোনও
অপরাধী
জরিমানা
দিতে
না
পারেন,
তবে
তাকে
একমাসের
জন্য
জেলে
পাঠানো
হবে।
এর
আগে
২০১৮
সালের
সংশোধনীতে
প্রথমবারের
অপরাধীদের
জন্য
জরিমানার
পরিমাণ
ছিল
৫০
হাজার
টাকা।
এছাড়াও
এই
সংশোধনীতে
রয়েছে,
আইনভঙ্গের
জন্য
আবগারি
দফতর
যদি
কাউকে
ধরে,
তাহলে
সেই
ব্যক্তিকে
জানাতে
হবে,
সেই
মদ
কার
কাছ
থেকে
সে
পেয়েছে।
দিল্লির আপ মন্ত্রীর পদত্যাগ, কনভার্সন ইভেন্টে উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কের পরই সিদ্ধান্ত