মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উদ্ধব ঠাকরেকেই চাইছে মহারাষ্ট্র, পোস্টার ঘিরে বিতর্ক
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচনের জন্য বিজেপির- শিবসেনা দ্বৈরথ বর্তমানে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে একসময়ের জোটসঙ্গী দুই দলের নেতা মন্ত্রীদের মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধের পথে। বাকযুদ্ধে নেমেছেন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও মহারাষ্ট্রের গেরুয়া শিবিরের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস।
জারি রয়েছে দোষারোপের পালা। বিজেপির সঙ্গে আর কোনও রকম আলোচনার রাস্তাতেই হাঁটতে নারাজ শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী কে হবে এই নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন রবিবার সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনের এক পোস্টার ঘিরে বিতর্ক আরও জোরালো হয়। ওই পোস্টারে বর্তমান সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, বাল ঠাকরে ও আদিত্য ঠাকরের ছবি দিয়ে লেখা আছে 'মহারাষ্ট্র বাসী উদ্ধব ঠাকরেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইছে।'
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার প্রায় পনেরো দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও রকম সমঝোতায় আসতে পারেনি তুই দল। ভোটের আগে দুই দলের মধ্যে আসন সংখ্যা সমান ভাবে ভাগাভাগির কথা থাকলেও কোনও দলই মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়তে নারাজ।
এদিকে শিবসেনা আগেই বিজেপির কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল পাঁচ বছরের মধ্যে দুই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবে অর্ধেক সময় করে। অর্থাৎ আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবে বিজেপির পক্ষ থেকে ,আর বাকি আড়াই বছর শিবসেনার। শনিবার মধ্যরাতেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ফের সরকার গঠনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে সরকার গঠনের জন্য বিজেপি বিধায়ক 'কেনাবেচা' করতে পারে এই আশঙ্কা করে শিবসেনা তাদের দলের সমস্ত নবনির্বাচিত বিধায়কদেরকে মুম্বইয়ের এক হোটেলে রেখেছে।
কিন্তু রবিবার সকালেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, "বিজেপি যদি সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে শিবসেনা সরকার গঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেব।" অন্যদিকে সূত্রের খবর, শিবসেনা শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও কংগ্রেসের সাথে মিলিত ভাবে সরকার গঠনের জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এদিকে রবিবারের এই পোস্টার, অন্যদিকে শিবসেনার অন্য দলের বিধায়কদের সাথে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা দেখে উদ্ধব ঠাকরেকেই মহারাষ্ট্রের 'নতুন' মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন অনেক মহারাষ্ট্র বাসীই।