উৎসব–বিয়ের মরশুমে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে নাজেহাল গ্রাহকরা, শুক্রবারও ভোগান্তি অব্যাহত
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ২দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট ৷ ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথমদিনই পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি ৷ প্রসঙ্গত, বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদা সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।


৯টি ব্যাঙ্ক সংগঠনকে সহ ১০ লক্ষের বেশি কর্মী নিয়ে তৈরি ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৷ এর ফলে ব্যাঙ্কের সমস্ত পরিষেবা ব্যাহত হয় বৃহস্পতিবার ৷ ব্যাঙ্কগুলির তরফে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে গ্রাহকদের ৷ তবে এটিএম পরিষেবায় এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি বলে খবর ৷ যদিও ধর্মঘটের প্রভাব শুধু পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কগুলিতে ৷ বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে কাজকর্ম অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল ৷ ধর্মঘটীদের দাবি, প্রায় ৭ লক্ষ কর্মী এই দুই দিনের ধর্মঘটে সামিল হয়েছে ৷ কারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কগুলি দেশকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করেছে ৷ শুক্রবারও এই ধর্মঘট চলবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হওয়ার ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয় ব্যাঙ্ক ও এটিএমে। তবে কিছু এটিএম অবশ্য খোলা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে ডিসেম্বর মাসের উৎসব ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আবহে চরম সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হল ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাজেরও। প্রসঙ্গত, বুধবার সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিল ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসায় ধর্মঘটের কথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা হয়। শুক্রবারও গ্রাহকদের এই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এসবিআই ও পিএনবি জানিয়েছে যে যদিও ব্যাঙ্ক তার শাখা এবং অফিসগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছে, তবে সম্ভবত ব্যাঙ্কের কাজ ধর্মঘটের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারি হাতে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ এই নিয়ে আইন তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্র ৷ এই শীতকালীন অধিবেশনেই ওই সংক্রান্ত বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র ৷ সেই কারণেই এই ধর্মঘটের ঘোষণা ৷