বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে বাল ঠাকরের শিবসেনা মুখ খুলল! প্রসঙ্গ উঠল আদবানীদের
বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে বাল ঠাকরের শিবসেনা মুখ খুলল! প্রসঙ্গ উঠল আদবানিদের
শোনা যায় এক টিভি অনুষ্ঠানে তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে , তিনি কী করে জানলেন যে রাম রাম লাল শিলা অযোধ্যাতেই রয়েছে? তার উত্তরে শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে বলেছিলেন , 'তাহলে কি রাম লালা শিলা পাকিস্তানে রয়েছে?' বাবরি মসজিদ মামলায় ২৮ বছর আগের বহু ইতিহাস , অজানা অধ্যায় কিম্বা জানা পর্ব এদিন মামলার রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে আসতে শুরু করে। আদালতের রায়ের পর এদিন প্রয়াত শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের দলও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ।
শিবসেনার বার্তা
শিবসেনার তরফে এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, বাবরি মামলার গুরুত্ব ২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই কমে গিয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দশকের পুরনো এই পর্ব আপাতত মনে রাখাই ভালো। উল্লেখ্য, বাবরি মামলায় প্রথম থেকেই রামমন্দিরের পক্ষে রয়েছে শিবসেনা। আর এদিন এই বার্তা ই উঠে আসে মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী শিবসেনার তরফে।
লালকৃষ্ণ আদবানি প্রসঙ্গে রাউত
এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, ' আমি আমার পার্টি শিবসেনা, এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি অভিনন্দন জানাই আদবানিজি, মুরলী মনোহরজি, উমা ভারতীজি, এ বাকি যাঁরা এই মামলায় বেকসুর খালাস হয়েছেন , তাঁদের। '
আশা করা যাচ্ছিল
এদিন শিবসেনার পক্ষ থেকে সঞ্জয় রাউত বলেন,' বাবরি ধ্বংস মামলা যে কোনও ষড়যন্ত্র নয়, একটা পরিস্থিতির শিকার, সেইরকম রায় আশা করা হচ্ছিল। এখন এই পর্বকে ভুললে যেতে হবে। বাবরি মসজিদ যদি ধ্বস না হত, তাহলে রামমন্দিরের ভূমি পুজো হত না। '
বাবরি মামলা ও ইতিহাস
পানিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লি দখল করেন মুঘল সম্রাট বাবর। এরপর অবধ ও দখল করার দায়িত্ব পড়ে বাবরের বিশ্বস্ত সেনাপতি মীর বাকির ওপর। এরপর এবধ দখল করে মীর বাকি সেখানে একটি মসজিদ গড়েন , যার নাম মনিব বাবরের নামে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই সরযূ নদীর তীরে প্রতিষ্ঠান হয় বাবরি মসজিদের। অভিযোগ ওঠে হনুমান গাড়হির পাশে ওই জমি রামলালার জন্মস্থান। ফলে এই মসজিদকে মানা হবে না। এই নিয়ে শুরু হয় সংঘাত।
উত্তাল রাজনীতি
এরপর ভারতে বহু বার বহু সময়ে রামমন্দির , বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে বহু আমলে। নয়ের দশকে তা উত্তাল রাজনীতির সঞ্চার করে। ১৯৮৯ সালে রামমন্দির আন্দোলেনর অন্যতম মুপখ হয়ে ওঠেন লালকৃষ্ণ আদবানি। তাঁর রথযাত্রা ও গতিবিধি সমর্থন পায় মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের তরফে। এরপর এক অভিশ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার জেরে করসেব ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে ১৬ জন করসেবকের মৃত্যু হয়। চলতে থাকে বাবরি মামলা। বাবরি মামলার ষড়যন্ত্রে নাম ওঠে শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের। পরবর্তীকালে এদিন এই রায় উঠে আসার পর,শিবসেনা দাবি করেছে , যে ওই পর্বটি ভুলে যাওয়া উচিত এখন।
বাবরি ধ্বংসের কলঙ্ক মুছে যেতেই মুখ খুললেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, যা বললেন বিজেপির লৌহপুরুষ