মাতৃগর্ভে বা প্রসবের সময় শিশুরাও কোভিড–১৯–এ সংক্রমিত হতে পারে, দাবি নতুন সমীক্ষার
শিশুরাও কোভিড–১৯–এ সংক্রমিত হতে পারে
ফ্রান্সে সম্প্রতি এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে প্রায় ৩০ শতাংশ সদ্যোজাত যারা কোভিড–১৯ আক্রান্ত, তারা সংক্রমিত হয়েছে নয় মায়ের গর্ভে অথবা প্রসবের পর মায়ের সংস্পর্শে আসার ফলে। এই সমীক্ষা করা হয়েছে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত ১৭৬টি সদ্যোজাত শিশুর ওপর।
শিশুদের সংক্রমণ হওয়ার ঘটনা বিরল
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যেখানে অধিকাংশ সদ্যোজাত প্রসবের পর এই মারণ রোগের সংস্পর্শে আসে, কিন্তু সেখানে খুব বিরল সম্ভাবনা রয়েছে সংক্রমিত মায়ের মধ্য দিয়ে এই রোগ জন্মের আগেই সদ্যোজাতের শরীরে প্রবেশ করার। এই সমীক্ষায় পর্যালোচনা করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের মাঝারি উপসর্গ দেখা গিয়েছে এবং তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ‘সম্পর্ক নেই এমন কারণে'।
বিরল কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে
সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সদ্যোজাতদের মধ্যে করোনা ভাইরাস যেখানে বিরল, সেখানে চিকিৎসকরা বোঝার চেষ্টা করছেন শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রসব হওয়ার পর কতটা। এই গবেষণায় পর্যালোচনা করা হয়েছিল ১৭৬টি কোভিড-১৯ কেসের শিসুদের কমপক্ষে একবার পজিটিভ টেস্ট করা হয়েছিল বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। নেচারে প্রকাশিত এই সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অধিকাংশ শিশু (৭০ শতাংশ) হাসপাতালে সংক্রমিত হয়েছে এবং মায়ের থেকে, হাসপাতালের কর্মী, অন্য রোগী, পরিবারের সদস্য ও হাসপাতালে আসা ভিজিটার্সদের থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে বাকি ৩০ শতাংশ শিশু মায়ের থেকে সংক্রমিত, তা প্রসবের আগে বা পরে হতে পারে। সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে বিরল হলেও চিকিৎসকদের এটা মনে রাখতে হবে যে ভাইরাস নিয়েও শিশুরা জন্মাতে পারে। যদিও মহামারির প্রথম দিকে এটা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল যে করোনা ভাইরাস সদ্যোজাতদের স্পর্শ করতে পারবে না।
৫০% শিশু উপসর্গহীন
১৭৬টি কেস পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে যে এদের মধ্যে অর্ধেক উপসর্গহীন। যাদের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশের অস্বাভাবিক ফুসফুস ধরা পড়েছে, ৫২ শতাংশের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৪৪ শতাংশের জ্বর ও ৩৬ শতাংশের স্তন্যপান করতে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এছাড়াও তাদের ডায়েরিয়া ও বমি হচ্ছে। এগুল ছাড়াও লক্ষ্য করা গিয়েছে যে ১৮ শতাংশের মধ্যে স্নায়ুর সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার ফলে শরীরের পেশি শক্ত হয়ে গিয়েছে।
স্তন্যপান করানোয় কোনও সমস্যা আছে
এখনও এই গবেষণা চলছে যে কীভাবে সদ্যোজাতর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করছে তা নিয়ে। যদিও চিকিৎসকরা কোনও অতিরিক্ত ঝুঁকি খুঁজে পাননি স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে।
কমলনাথের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে কী ফের ক্ষমতায় ফিরছে কংগ্রেস?