হনুমান জয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক হিংসার এনআইএ তদন্ত চাই, শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের
হনুমান জয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক হিংসার এনআইএ তদন্ত চাই, শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের
হনুমান জয়ন্তীতে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি এমনই দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আবেদনে লিখেছেন যে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়া, লাঠি নিয়ে হামলা করা এই সব ঘটনায় সুপরিকল্পিত এবং দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা। এর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
হনুমান জয়ন্তীতে সংঘর্ষ
শুধু রাজধানী দিল্লিতে নয় হনুমান জয়ন্তীতে দেশের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশেও হয়েছে সংঘর্ষ। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে সবচেয়ে বেশি হয়েছে সংঘাত। এমনকী জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যেও হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূ্র্ণ ধর্মীয় শোভাযাত্রায় হঠাৎ করে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই হামলা চালানো হয়েছে। দেশের একাধিক জায়গায় এই ধরনের ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এনআইএ তদন্তের দাবি
হনুমান জয়ন্তীতে দিল্লি সহ দেশের একাধিক জায়গায় হিংসার ঘটনাকে সহজভাবে নিতে রাজি নন আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন। কারণ তাঁর মতে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনা একেবারেই পরিকল্পিত। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কোনও জঙ্গিসংগঠনও থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। সেকারণেই এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্বতঃপ্রণোদিত মামালা দায়ের আর্জি
আইনজীবী অশোক সিং খালসাও শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামন্নার কাছে জাহাঙ্গীরপরীর ঘটনার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পুরো ঘটনাটি সাধারণ ভাবে দেখতে নারাজ তিনি। তিনি প্রধানবিচারপতির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়ে বলেছেন িদল্লি পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে তাতে আসল দোষীরা সাজা পাবে না। তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ এই ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশের উপরে অনাস্থা প্রকাশ করেেছন তিনি।
নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস
এদিকে দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দোষী যে ধর্মেরই হোক তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম প্রভাব খাটানো হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ১৪িট টিম ঘটনার একসঙ্গে তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনের নাম আগে থেকেই পুলিশের খাতায় রয়েছে। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইমব্রাঞ্চকে। ডিজিটাল নমুনাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
'নিরপেক্ষ তদন্ত হবে, ১৪টি টিম একসঙ্গে কাজ করছে', আশ্বাস দিল্লি পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানার