রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: ফারুক আবদুল্লার পরে এবার না গোপালকৃষ্ণ গান্ধীরও! কে হবেন বিরোধী প্রার্থী, জল্পনা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (presidential election) বিরোধীদের প্রথম পছন্দের ছিলেন শারদ পাওয়ার (sharad pawar)। কিন্তু তিনি প্রথমেই না করে দেন। পরে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফারুক আবদুল্লা এবং
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (presidential election) বিরোধীদের প্রথম পছন্দের ছিলেন শারদ পাওয়ার (sharad pawar)। কিন্তু তিনি প্রথমেই না করে দেন। পরে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফারুক আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন। এরপর ফারুক আবদুল্লা (farooq abdullah) জানান তিনি এখনই সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান না, তাই তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। এবার গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও (gopal krishna gandhi) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে ২১ জানুয়ারি পার্লামেন্ট অ্যানেস্ক বিল্ডিং-এ যে বৈঠক বসবে, তাতে ফের উঠে আসবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য বিরোধী প্রার্থীর নাম।
গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর বিবৃতি
এদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে না দাঁড়ানো নিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। দেশের প্রাক্তন এই কূটনীতিক বলেছেন, তিনি কৃতজ্ঞ যে বিরোধীরা যৌধভাবে তাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেছিল। তবে তিনি তাঁদের অনুরোধ করেছেন, অন্য কাউকে বিবেচনা করার জন্য, যিনি অনেক ভাল রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী সর্বসম্মত প্রার্থী হতে চান।
১৫ জুন নাম ঘোষণার পরে অবস্থান
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
১৫
জুন
রাষ্ট্রপতি
পদপ্রার্থী
হিসেবে
নির্বাচনী
লড়াইয়ের
জন্য
গোপালকৃষ্ণ
গান্ধীর
নাম
প্রস্তাব
করেছিলেন।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
সেই
সময়ে
তিনি
মন্তব্য
করেছিলেন,
সেই
সময়ের
নিরিখে
বিষয়টি
নিয়ে
মন্তব্য
করা
দুষ্কর।
তবে
বিভিন্ন
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী
নাম
ঘোষণার
আগে
বেশ
কয়েকজন
বিরোধী
নেতা
গোপালকৃষ্ণ
গান্ধীর
সঙ্গে
ফোনে
বিষয়টি
নিয়ে
কথা
বলেছিলেন
এবং
বিরোধী
প্রার্থী
হওয়ার
জন্য
অনুরোধ
বিবেচনার
আহ্বান
করেছিলেন।
২০১৭ সালে হেরেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে
বর্তমানে ৭৭ বছর বয়সী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী দেশের প্রাক্তন কূটনীতিক। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে তিনি বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
২১ জুন দিল্লিতে ফের বিরোধী বৈঠক
১৫ জুনের বৈঠকে আলোচিত দুজনের কেউই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হতে রাজি হননি। সেই পরিস্থিতিতে ২১ জুন পার্লামেন্টের অ্যানেক্স বিল্ডিং-এ ফের বৈঠকে বসছেন ১৭ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। শরদ পাওয়ার এই বৈঠকের উদ্যোক্তা।
কংগ্রেস আগেই জানিয়েছে এই নির্বাচনে তারা কোনওপ্রার্থী দেবে না। তবে বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকছেন না। সেখানে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিষেকের দিল্লি যাত্রার আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা নাম উঠে আসছে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে।
অগ্নিপথ প্রকল্পে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ! কেন্দ্র নিষিদ্ধ করল ৩৫ টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ