নেতৃত্বের সমালোচনার পরে আরও বড় পদক্ষেপ! গুজরাত কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হার্দিকের অবস্থান ঘিরে জল্পনা
গত বেশ কিছুদিন ধরে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ গুজরাত (gujarat) প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) কার্যকরী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। নানাভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমালোচনার পরে এবার তিনি টুইটার (twitter) বায়ো থেকে দলের নামটা মুছে ফেললেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ সালে সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল ২০১৯-এ কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে তাঁকে কার্যকরী সভা করে কংগ্রেস।

হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে বদল
সাম্প্রতিক সময়ে হার্দিক প্যাটেল তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল পিকচার থেকে কংগ্রেসের ক্রিবর্ণ রঞ্জিত স্কার্ফ সরিয়ে গেরুয়া স্কার্ফ করেন। এমন কী তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বায়ো থেকে কংগ্রেস শব্দটি পর্যন্ত সরিয়ে দেন। তাপিতে যুব স্বাভিমান সম্মেলনে যেখানে যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি বিভি শ্রীনিবাস উপস্থিত ছিলেন, সেখানে হার্দিক অকংগ্রেসি সাদা স্বার্ফ ব্যবহার করেন।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেই প্রতি ৫ দিনে তাদের ডিপির পরিবর্তন করেন। সেই রকমই তিনি করেছেন। তারপরেই হার্দিক কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশানা
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে হার্দিক কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, গুজরাতের কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না। তাঁর সঙ্গে কেউ পরামর্শ করে না কিংবা, তাঁকে কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় না।

হিন্দুবাদী এবং রামভক্ত
সাম্প্রতিক সময়ে হার্দিক প্যাটেল নিজেকে হিন্দুবাদী এবং রামভক্ত বলে বর্ণনা করেছিলেন। তারপর থেকেই হার্দিক প্যাটেল বিজেপিতে যোগ লদিতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।

কংগ্রেসেই থাকতে চান
গত সপ্তাহেই হার্দিক টুইট করেন, তিনি বর্তমানে কংগ্রেসে আছেন। তিনি আশা করেন, কেন্দ্রীয় নেতারা একটা উপায় খুঁজে বের করবেন, যাতে তিনি কংগ্রেসে থেকে যেতে পারেন। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা চান হার্দিক কংগ্রেস ছেড়ে চলে যান। তাঁরা তাঁর (হার্দিকের) মনোবল ভাঙতে চায় বলেও মন্তব্য করেন হার্দিক।

এবার কি সিধুকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার? সোনিয়াকে প্রদেশ কংগ্রেস ইনচার্জের চিঠি ঘিরে জল্পনা