খুনের পর আফতাব বানিয়েছিল ব্রেক আপের গল্প, শুনিয়েছিল শ্রদ্ধার বন্ধুদের
খুনের পর আফতাব বানিয়েছিল ব্রেক আপের গল্প, শুনিয়েছিল শ্রদ্ধার বন্ধুদের
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যার ঘটনা নিয়ে এখনও একের পর এক ঘটনা সামনে এসেই যাচ্ছে। সূত্রের খবর মিলছে যে, আফতাব আমিন পুনাওয়ালা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেছিল মুম্বইতে। তারপর একটা গল্প বানিয়ে দিয়েছিল। পাশাপাশি তাদের একটা ব্রেক আপের গল্প বানিয়ে দিয়ে আসে। যাতে ওই ঘটনা যে সে ঘটিয়েছে যাতে সে ধরতে না পারে তার জন্য এই গল্প বানিয়েছিল।
পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন
আফতাব মে মাসে তার লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে মে মাসে খুন করে। তার দেহ ৩৫ টুকরো করে দেয়। তারপর সেই দেহ তারা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর সেই দেহ এক একটি অংশ করে দিল্লির মেহরুলিতে জঙ্গলে নিয়ে যায়। ১৬ দিন ধরে সেই কাজ করে। বিভিন্ন জায়গায় একটি একটি করে ফেলে রেখে দেয়।
ভাসাইয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, আফতাব শ্রদ্ধার ফোন ওয়াই ফাইয়ের মাধ্যমে শ্রদ্ধার ফোন কানেক্ট করে রেখেছিল। তারপর এর মাধ্যমে সে শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল। সে তার সিম কার্ড তো আগেই ভেঙে দিয়েছিল। খুনের পরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল সে।
অভিযোগ দায়ের
এই ঘটনা নিয়ে অক্টোবর ১২ তারিখে শ্রদ্ধার পরিবার মানিকপুর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিল। আফতাবকে প্রথমে ২০ অক্টোবর প্রশ্ন করার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই সময়ে গ্যাজেট এবং ফোন চেক করেছিল। এই সময়ে দেখা যাচ্ছিল যে ২৬ অক্টোবর শ্রদ্ধার ফোন দেখা যাচ্ছিল যে রীতিমত ব্যবহার করা হয়েছিল।
আফতাবের বক্তব্য
২৬ অক্টোবর, মানিকপুরের পুলিশ আফতাবের বক্তব্য নেয়। অবশ্য সেখানে সে বলেছিল যে তার সঙ্গে শ্রদ্ধার ঝগড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পরই সে সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। ৪ নভেম্বর সে দিল্লিতে ফিরে এসেছিল। এরপর সে ধীরে ধীরে সমস্ত যে তথ্য প্রমাণ সব নষ্ট করতে শুরু করে। এরপর সে শ্রদ্ধাকে খুনের যে অস্ত্র সে ব্যবহার করেছিল সেটার প্রমাণও সে লোপাট করার চেষ্টা করে।
পলিগ্রাফ টেস্ট
পলিগ্রাফ টেস্টের যে রিপোর্ট আসে তাতে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে অভিযুক্ত করা হয় বিশ্রীভাবে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার জন্য। তারপর রোহিণীতে ফরেন্সিক ল্যাবে সেই টেস্ট করে তার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে। আফতাবের ইতিমধ্যেই তিনটি টেস্ট হয়েছে। হয়েছে লাই ডিতেক্টর টেস্টও।
শ্রদ্ধা হত্যার ছায়া দিল্লিতে! খুনের পর বাবার দেহের ২২টি টুকরো করে ফ্রিজে রাখল মা ও ছেলে