
চরমে সংঘাত!টাটা-এয়ারবাস বিমান তৈরি নিয়ে ফড়নবিশকে চ্যালেঞ্জ আদিত্য ঠাকরের
মহারাষ্ট্রের পরিবেশ নাকি উপযুক্ত ছিল না, সেই কারণেই টাটা-এয়ারবাস বিমান তৈরির জন্য গুজরাটকে বেছে নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের এমন দাবি উড়িয়ে দিলেন শিব সেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে। তিনি ফড়নবিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানতে চেয়েছেন, কোন অফিসার বলেছেন এমন কথা?

টাটা-এয়ারবাস বিতর্ক প্রসঙ্গে আদিত্য ঠাকরে বলেন, আমি উপ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, টাটার সেই অফিসারের নাম বলুন, যিনি বলেছেন, এয়ারবাস প্রজেক্টের জন্য মহারাষ্ট্র উপযুক্ত নয়। কারণ টাটাকে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, তারা যেখানে বলবে, সেখানেই প্রজেক্ট করতে হবে। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের মুখোমুখি হতে চেয়েছেন আদিত্য। তাঁর দাবি, কোন প্রজেক্ট রাজ্য ছেড়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে একনাথ শিন্ডেরই কথা বলা উচিত ছিল, তাঁর উপ মুখ্যমন্ত্রীর নয়।
আদিত্য ঠাকরে আরও দাবি করেন, একের পর এক প্রজেক্ট হারিয়েছে মহারাষ্ট্র। বেদান্ত-ফক্স অন প্রজেক্টও পায়নি মহারাষ্ট্র। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রের ঠাকরে সরকারকে বারবার বলা হয়েছিল, আরও ভাল প্রজেক্ট আসবে তাদের হাতে। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রজেক্ট হারানোর পর তাদের মাত্র ২০০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট এসেছিল তাদের হাতে।
অন্যদিকে, ফক্সঅন নিয়ে ফড়নবিশ যে দাবি করেছেন, সেটাও উড়িয়ে দিয়েছেন ঠাকরে। তিনি জানান, ফক্সঅন মহারাষ্ট্রে প্রজেক্ট করার জন্য মৌ স্বাক্ষর করেছিলেন। পরে তারা সিদ্ধান্ত বদল করে আমেরিকা চলে যায়। ফলে তাদের জন্য যে জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। ফলে প্রজেক্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আগেই বর্তমান সরকারকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করেছেন আদিত্য। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, জুলাই থেকে এই বিষয়ে বারবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। টাটা এয়ারবাস প্রজেক্ট যাতে মহারাষ্ট্রে আসে সেই আবেদনই জানিয়েছিলেন তিনি। কেন প্রজেক্ট চলে যাচ্ছে, সে বিষয়ে শিণ্ডে সরকারের একাধিক প্রশ্নও ছুড়ে দেন আদিত্য।
উদ্ধব ঠাকরে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শিল্প মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না? তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের ইঞ্জিন ফেল হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও আক্রমণ করেন আদিত্য ঠাকরের। তাঁর টুইতে তিনি লিখছেন, কোনও শিল্পই এখানে আসছে না। সরকারের উপর আস্থা নেই বলেই আক্রমণ করেছেন তিনি।
বলে রাখা প্রয়োজন, প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই প্রথম কোনও প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেখানে সামরিক বিমান কোনও বেসরকারি সংস্থা তৈরি করবে। প্রকল্পটির জন্য মোট খরচ হবে ২১,৯৩৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবারই চেন্নাই উড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! বুধেই স্টালিনের সঙ্গে হবে বৈঠক