
সম্পর্ক ভাঙার ফল, বিষক্রিয়ার মাধ্যমে খুন প্রেমিককে
ছেলেটি সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিল। ফল হল মারাত্মক। বিষক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে খুন করল তাঁর প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুবনন্তপুরমে । অভিযুক্তকে পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে। ৮ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সে কথা শিকার করে।

২৩ বছরের ওই ছাত্র রেডিওলজির ছাত্র ছিল। জানা গিয়েছে তাঁর নাম ছিল শারন রাজ। ২৫ তারিখ সে মারা যায়। পুলিশের এডিজিপি অজিত কুমার জানিয়েছেন যে তিরুঅনন্তপুরমের এক বাসিন্দা যে ওই ছেলেটির বন্ধু ছিল সেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁর নাম গ্রিশমা।
সম্প্রতি এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গাজিয়াবাদে। প্রকাশ্যে রাস্তায় প্রাক্তন এক পুলিশ কর্তার ছেলেকে বেধড়ক মারা হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাপক মারধরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এভাবে রাস্তায় প্রথম বেধড়ক মার এবং পরে ইট দিয়ে মাথা একেবারে থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই অভিযুক্তকে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সে যে এই কাজ করেছে তা শিকার করে নেয়। সে জানিয়েছে সে এই সম্পর্ক শেষ করতে চায়নি। তাই সে রাগে এই কাজ করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে সে তাঁর প্রেমিককে তাঁর বাড়িতে ডাকে। তারপর তাঁর সঙ্গে কথা বলে। এরপর কাপিক নামে একটি বিষ আয়ুরবেদিক জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে পান করায়। এটা খাবার কিছুক্ষনের মধ্যেই ওই যুবকের বমি হতে শুরু করে। তারপর তাকে সে ওখানে ফেলেই চলে যায়। সে যে খুন করবে সে সেটা আগেই পরিকল্পনা করে নিয়েছিল। তার জন্যই ওই ছেলেটিকে সে বাড়িতে ডেকেছিল। তারপর ১৪ অক্টোবর সে ঘটনাটি ঘটায়।
গ্রিশমা ও শ্যারন গত এক বছর ধরে সম্পর্কে ছিল। ফেরুয়ারি ২০২২ সালে তাঁদের মধ্যে কিছু সমস্যা হয়। এর মাঝে গ্রিশমার সঙ্গে অন্য একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু সে শ্যারনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। এর পরে ফের তাঁদের মধ্যে সমস্যা হয়। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যায় শ্যারন। এরপরেই তাকে খুনের পরিকল্পনা করে গ্রিশমা।
গ্রিশমা আবার সুন্দর একটা গল্পও বানিয়েছিল। সে বলেছিল, তাঁর ভাগ্যে নাকি প্রথম স্বামীর মৃত্যু লেখা রয়েছে। এই ঘটনা ঘটে তাঁর ভাইয়ের সামনে। সে বারবার জিজ্ঞাসা করে কি করেছে সে? কি মিশিয়েছে পানীয়তে। সে বলেনি ভয়েতে। পুলিশ বলছে যে সে যদি বলত তাহলে হয়তো ওই ছেলেটিকে বাঁচানো যেত।
শ্যারন অক্টোবর ২৫ তারিখ মেরে যায়। থিরুঅনন্তপুরমে মেডিকেল কলেজে সে মারা যায়।