'কাজ তো হল না সংসদে! সাধারণের গাঁট থেকেই খসল ১৩৩ কোটি টাকা', বিরোধীদের দুষছে বিজেপি
গত ১৯জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু এ বার শুরু থেকেই বিক্ষোভের জেরে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে সেই অধিবেশন। আজ, শনিবার সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এ ভাবে ব্যাঘাত ঘটায় ১৩৩ কোটি টাকার ক
গত ১৯জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু এ বার শুরু থেকেই বিক্ষোভের জেরে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে সেই অধিবেশন। আজ, শনিবার সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এ ভাবে ব্যাঘাত ঘটায় ১৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাধারণের করের এই বিপুল টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। বিরোধীদের বিক্ষোভে এ বার শুরু থেকে বিক্ষোভ হয় সংসদে। কখনও পেগাসাস কখনও কৃষি বিল বিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ।
বিবৃতিতে উল্লেখ, লোকসভায় এ বার ৫৪ ঘণ্টা কাজ হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তা হয়েছে মাত্র ৭ ঘণ্টা হয়েছে এবার। আর রাজ্যসভায় ১১ ঘণ্টা কাজ হয়েছে, যা ৫৩ ঘণ্টা হওয়া সম্ভব ছিল। সব মিলিয়ে মোট ১০৭ ঘণ্টা কাজ হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১৮ ঘণ্টা কাজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
হিসেব দিয়ে বলা হয়েছে, এই আবহে সাধারণ মানুষের করের ১৩৩ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। লোকসভায় দিন কয়েক আগেই বিশৃঙ্খলা এমন চরমে পৌঁছয় যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কংগ্রেসকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিজেপির একটি আভ্যন্তরীণ বৈঠকে তিনি বলেন, কংগ্রেস এ্মন কাজ করছে, যাতে বাধা পাচ্ছে কার্যক্রম। বিরোধীরা অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করছেন।
তাঁদের মতে, বিজেপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এমন কৌশলকে হাতিয়ার করত। অধ্যক্ষ ওম বিড়লার চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছোড়ার ঘটনাও ঘটে সম্প্রতি। অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরের দিন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের বার্তা দেন ওম বিড়লা। সেই আচরণ 'অত্যন্ত দুঃখজনক' বলে ব্যাখ্যা দেন ওম বিড়লা।
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাংসদরা কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি। অন্যদিকে সাংসদ ঠিক ভাবে চালাতে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যপাধ্যায় সহ একাধিক বিরোধী দলের সাংসদের সঙ্গে ফোনে নিজে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
উল্লেখ্য, অধিবেশনের শুরুর আগের দিন পেগাসাস নিয়ে শুরু হয় নয়া বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা, সাংবাদিক, বিচারপতি সহ একাধিক ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ সামনে আসে। আর এরপর থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে একজোট হয় বিরোধীরা। এরপর পেগাসাশ ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের নাম সামনে আসে।
তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে। আর এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে চেয়ে লাগাতার সংসদের বাইরে এবং ঘরে সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়ে চলছে। ফলে বাদল অধিবেশন ঠিক ভাবে করাই যায়নি। আর তাতে দেখা গিয়েছে যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তা আর্থিক এবং উন্নয়নের প্রশ্নেও।