২৪ ঘন্টায় ১৬ জন, এক সপ্তাহে ১০৮ জনের মৃত্যু Heart Attack-এ! কারণ চমকে দেওয়ার মতো
লাগাতার ঠান্ডা বাড়ছে (Kanpur Cold Wave) উত্তরপ্রদেশের কানপুরে! নুন্যতম তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। একেবারে কনকনে ঠান্ডাতে কাঁপছে সে রাজ্যের মানুষ। আর এই প্রবল ঠান্ডাতে সে রাজ্যের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর ভয়ঙ
লাগাতার ঠান্ডা বাড়ছে (Kanpur Cold Wave) উত্তরপ্রদেশের কানপুরে! নুন্যতম তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। একেবারে কনকনে ঠান্ডাতে কাঁপছে সে রাজ্যের মানুষ। আর এই প্রবল ঠান্ডাতে সে রাজ্যের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর ভয়ঙ্কর এই ঠান্ডাতে (Severe Cold) হার্টের সমস্যায় (Heart Attack) যারা ভুগছেন তাঁরা নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।
হার্ট অ্যাটার্কে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। কানপুরের হার্ট ডিজিজ ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান রীতিমত চমকে দিচ্ছে।
সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে
হার্ট ডিজিজ ইনস্টিটিউটের সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান সামনে নিয়ে এসেছে। তথ্য বলছে, শহরে লাগাতার হার্ট অ্যাটার্কে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ওপিডিতে প্রত্যেকদিন নাকি ৬০০ জন করে Heart Attack আক্রান্ত রোগী আসছে। শুধু তাই নয়, ৫০০ এরও বেশি রোগীর চিকিতসা চলছে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। শুধু তাই নয়, গত এক সপ্তাহে Heart Attack-এ অন্তত ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হার্ট ডিজিজ ইনস্টিটিউটের তরফে।
ব্লাডপ্রেসারের রোগী এবং বয়স্ক মানুষদের সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে
তবে এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র কানপুর হার্ট ডিজিজ ইনস্টিটিউটের (LPS Heart Disease Center) -এর তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকা এবং অন্যান্য সিএইচসি হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতালের পরিসংখ্যান এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, ভয়ঙ্কর ঠান্ডাতে ব্লাডপ্রেসারের রোগী এবং বয়স্ক মানুষদের সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ওই হাসপাতালের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মানুষকে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রবল ঠান্ডাতে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর বিনায়ক ডক্টর কৃষ্ণা বলছেন, প্রবল ঠান্ডাতে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। গরমে কাপড়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসার কথা কথাও বলছেন তাঁরা। বিশেষ করে হৃদয়ে সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার কথা বলছেন ডক্টর কৃষ্ণা। আর এরপরেই তথ্য তুলে তিনি বলছেন, আগামী ১ জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে ৮ জানুয়ারী পর্যন্ত ১০৮ জন রোগীর শুধু তাই হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যু হয়েছে। জারি করা রিপোর্ট অনুসারে ৫১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন। অন্যদিকে ৫৭ রোগীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে প্রকাশিত রিপোর্টে।
কেমন এমন অবস্থা হচ্ছে?
কার্ডিওলজির ডিরেক্টর অধ্যাপক বিনয় কৃষ্ণ বলেন, এই শীতে হার্ট ও মন উভয়ের ওপরই প্রভাব পড়ে। প্রবল ঠান্ডাতে শিরা-উপশিরায়ও অনেক সময়েই রক্তজমাট বেঁধে যায় বলে জানাচ্ছেন বিনয় কৃষ্ণ। আর এর ফলে মানব শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে এবং মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তবে এক্ষেত্রে বাঁচার একমাত্র পথ হল যোগ-ব্যায়াম করা। এছাড়াও শরীরে রক্তের চলাচল ঠিক রাখা।