বন্যপ্রাণ সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ, মিনি জু'তে পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার সুযোগ
বন্যপ্রাণ সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ, মিনি জু'তে পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার সুযোগ
বন্যপ্রাণ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন আগেই চিড়িয়াখানার বিভিন্ন পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেশ ভালো সাড়াও মিলছে। এবার বিভিন্ন প্রাণী দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের গড়চুমুক মিনি জু'তে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৫-৬ জনেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন প্রাণী দত্তক নিয়েছেন।
আরও বেশ কিছু মানুষ দত্তক নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গড়চুমুক মিনি জু'য়ের প্রাণী দত্তক নিতে অনলাইনে বা হাওড়ায় বন দপ্তরের অফিস বা গড়চুমুকের অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। বিভিন্ন প্রাণী অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে দত্তক মূল্য।
আড়াই হাজার টাকা থেকে তিরিশ হাজার টাকা অব্ধি দত্তক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এক মাস থেকে এক বছরের জন্য একটি প্রাণীকে দত্তক নেওয়া যাবে। বন দপ্তরের এক কর্তা জানান, যিনি দত্তক নেবেন তিনি ও তাঁর পরিবারের চারজন সদস্য ওই নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য বিনামূল্যে গড়চুমুক মিনি জুতে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট প্রাণীর এনক্লোজারের সামনে দত্তক গ্রহণকারী নাম ও ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙানো হবে।
এর ফলে বন্যপ্রাণীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেমন বাড়ছে তেমনই মানুষের মধ্যে সচেতনতাও জাগছে। পরিবেশপ্রেমীদের কথায়, পরিবেশের স্বার্থে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি প্রয়োজন। উল্লেখ্য, জোরকদমে সেজে উঠছে গড়চুমুক মিনি জু। একসময়কার গড়চুমুক ডিয়ার আজ গড়চুমুক জুলজিক্যাল গার্ডেনে রূপান্তরিত হয়েছে। জানা গেছে, গড়চুমুকের এই মিনি জু'তে বর্তমানে আশিটিরও বেশি হরিণ রয়েছে। রয়েছে পাঁচটি কুমির, ময়ূর, পোর্কুপাইন, কচ্ছপ, ফিসিং ক্যাট, জঙ্গল ক্যাট, ম্যাকাও সহ বহু প্রজাতির পশুপাখি। এবার তাদের দত্তক নিতেই এগিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি দেহরাদুন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে, কেউ চিড়িয়াখানায় পশু-পাখি দত্তক নিলে আয়করে বড় ছাড় পাবেন।অনেক আগেই আয়কর দফতরকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন, কেউ যদি চিড়িয়াখানায় কোনও পশু-পাখি দত্তক নেয় তাহলে যেন আয়করে ছাড় দেওয়া হয়। তবে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আয়কর দফতরের মঞ্জুরির চিঠি এই এল বলে। যারা বন্যপ্রাণ দত্তক নিয়েছেন, খাবারে খরচ বহন করছেন, তাঁরা আয়করে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় চলছে, রয়েছে ঘূর্ণাবর্তও! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে