হাওড়া পুরভোটে ভাগ্য ঝুলেই রইল, পুর-বিলে রাজ্যপালের সই নিয়ে জোর সওয়াল হাইকোর্টে
হাওড়া পুরভোটে ভাগ্য ঝুলেই রইল, পুর-বিলে রাজ্যপালের সই নিয়ে জোর সওয়াল হাইকোর্টে
হাওড়া পুরভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটল না। এখনও বিশবাঁও জলে হাওড়া পুরসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরভোট হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বাকি পাঁচ পুরনিগমের ভোট একসঙ্গে করতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিল-বিতর্কে তা সম্ভব হল না, এখনও আইনি বেড়াজালে আবদ্ধ হাওড়া পুরভোটের ভাগ্য।
শুক্রবার হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এদিন হাওড়া পুরভোট নিয়ে দু-পক্ষের সওয়াল-জবাবে জমে ওঠে প্রধান বিচারপতির এজলাসের শুনানি। মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, নির্বাচন কমিশন ২২ জানুয়ারি হাওড়া পুরসভারও নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছিল। কিন্তু হাওড়াকে বাদ রেখেই নির্বাচন ঘোষণা হল বাকি চার পুরনিগমের।
কমিশন আদালতকে জানানো সত্ত্বেও কেন হ'ল না হাওড়া পুরসভার ভোট। হাওড়া পুর-বিলে রাজ্যপালের সই নিয়ে আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সচিব অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে আরও সংকট তৈরি হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানিয়ে ছিলেন। এর জন্য দায়ী ওই সচিব।
গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট, তিন সদস্যের কমিটিকে গুরুদায়িত্ব
মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, সচিব শুধু আদালত নয়, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকেও ভুল তথ্য দিয়েছেন। এই অফিসারকে অবিলম্বে ডেকে রিপোর্ট চাওয়া উচিত। তিনি কেন অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ভুল তথ্য পরিবেশন করলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, আপনি কী চাইছেন? আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাইছি হাওড়ার নির্বাচন করা হোক। কিন্তু হলফনামা দেওয়ার পর কমিশন আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে চিঠি দিয়ে সংরক্ষণের কথা বলছে। তাহলে হলফনামার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করল কেন নির্বাচন কমিশন? এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আমি প্রথমেই ক্ষমা চাইছি ওই ঘটনার জন্য। আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তবে সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল না।
অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, রাজ্যপালের বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম ২৩ ডিসেম্বরের রায়ের আগে। তার জন্য আমি দায়ী। কেউ আমাকে মিস গাইড করেনি। বিষয়টি আমার বুঝতে ভুল হয়েছিল। তিনি আরও বলেন হাওড়া নির্বাচনের বিষয়টি হলফনামায় প্রস্তাবের আকারেই ছিল। ফাইনাল ছিল না। এরপরই হাওড়া নির্বাচন নিয়ে শুনানি শেষ হয় এবং রায়দান স্থগিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল হাওড়া-বালি পুরসভা পৃথকীকরণ বিলে সই না করায় বিতর্কের সূত্রপাত, তা এখন আদালতের কাঠগড়ায়।