হাওড়া পুরভোটে জট অব্যাহত, পূর্বনির্ধারিত ২২ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ সম্ভব কোন অঙ্কে
হাওড়া পুরভোটে জট অব্যাহত, পূর্বনির্ধারিত ২২ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ সম্ভব কোন অঙ্কে
রাজ্য প্রস্তাব রেখেছিল হাওড়া-সহ পাঁচ পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোট হবে আর বাকি পুরসভার ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে। সেইমতো ২২ জানুয়ারি পুরনিগমের ভোট ঘোষণা হয়ে গেল হাওড়া পুরনিগমের ভোট বাকি রেখেই। হাওড়া বাদে চার পুরনিগমে ভোট হবে। ওই একই দিনে কি হাওড়ার ভোট সম্ভব? তা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জবাব দিলেন নির্বাচন কমিশনার।
একই দিনে সম্ভব হাওড়া পুরসভার ভোটগ্রহণ!
সোমবার চার পুরনিগমের ভোট ঘোষণা করলেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। স্থগিত রাখা হল হাওড়া পুরনিগম নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা। জট না কাটা পর্যন্ত হাওড়া পুরসভার ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তবে একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, একই দিনে সম্ভব হাওড়া পুরসভার ভোটগ্রহণ।
রাজ্যে দু-দফায় পুরনিগম ও পুরসভার ভোট
রাজ্যে মোট ১১৪টি পুরসভা ও ৬টি পুরনিগম রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা পুরনিগের ভোট ডিসেম্বরে সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়েছি, বাকি পাঁচ পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি এবং ১১৪ পুরসভার ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি করতে চায় তারা। সমস্ত পুরভোট একসঙ্গে করার দাবিতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তা জানিয়েছিল আদালতে।
হাওড়া ও বালি পুরসভা পৃথকীকরণ নিয়ে জট
রাজ্যের প্রস্তাব মোতাবেক ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাওড়ার ভোট আটকেই রইল। কারণ হাওড়া জট এখনও খোলেনি। হাওড়া ও বালি পুরসভা পৃথকীকরণ নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে, তা এখনও রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাতের আবহেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সংঘাতে আটকে ভোট
হাওড়া থেকে বালি পুরসভা পৃথকীকরণের জন্য বিল এনেছিল রাজ্য সরকার। সেই বিল বিধানসভায় পাস করার পর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। পাল্টা রাজ্যপাল জানান, তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাননি। ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়ে রয়েছে।
রাজ্যপাল সই না করলে হাওড়া পুরভোট অসম্ভব
রাজ্য সরকার কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট একই দিনে করতে চেয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বর হাওড়ার পুরভোট করার প্রক্রিয়াও স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এবার অন্য চার পুরনিগমের সঙ্গে হাওড়া পুরনিগমের ভোট করার পরিকল্পনাও ধাক্কা খেল। ওই বিলে রাজ্যপাল সই না করলে হাওড়া পুরভোট করা সম্ভব নয়। আইনের জটিলতায় আটকে হাওড়া পুরভোট।
কোন অঙ্গে সম্ভব ২২ জানুয়ারি হাওড়ার ভোট
এখন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস হাওড়া পুরনিগমের ভোট নিয়ে একটা সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওই ২২ জানুয়ারিই হতে পারে হাওড়া পুরনিগমের ভোট। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবারের মধ্যে হাওড়া-বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে সই করতে হবে রাজ্যপালকে। তাহলে হাওড়া পুরসভা ভোট নিয়ে আর কোনও জটিলতা থাকবে না। তিনি জানান, হাওড়া নিয়ে রাজ্য কিছু জানায়নি বলেই ভোটের ঘোষণা করা গেল না এদিন।