আনিস-মৃত্যুতে বিজেপি-আরএসএসের যোগ নস্যাৎ দিলীপের, তির ছুড়লেন তৃণমূলের দিকে
আনিস-মৃত্যুতে বিজেপি-আরএসএসের যোগ নস্যাৎ দিলীপের, তির ছুড়লেন তৃণমূলের দিকে
পুলিশের ছদ্মবেশে ছাদ থেকে ঠেলে খুন করা হয়েছে বা আত্মহ্ত্যায় বাধ্য করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে আনিসের রহস্য-মৃত্যুর ঘটনায়। এই ঘটনায় শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নয়, অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকেও। আনিস-মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসের যোগের অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আমতার ছাত্রনেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানান, আগে বিরোধী কর্মীদের খুন করা হত, এখন তৃণমূল নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে। এতদিন সিএএ বিরোধিতা আনিস খানের নেতৃত্বে করা হয়েছে। তৃণমূল ওনার সঙ্গেই ছিল। বাংলার রাজনীতিতে এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। অনেক না জেনে সন্দেহের বশে বিজেপি ও আরএসএসের বদনাম করছে।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, পুলিশ দিয়ে আনিস খানকে এনকাউন্টার করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হয়, আমরা তা জানা নেই। তহলে এত দুবৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশমন্ত্রী, তাই এমন দুর্দশা। পুলিশ শুধু বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে সময় নষ্ঠ করছে. আর ডাকাত-গুন্ডারা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। বোমা-বন্দুক নিয়ে মারমারি হচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে নেমে গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন এখন শুধু বাংলায় টেকে না। কখনও গোয়া, কখনও উত্তরপ্রদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের তাহলে কী হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি দাবি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে একটু নজর দিয়ে ছাত্র-নেতা আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের সমাধান হোক। আনিস খান খুন হয়েছেন, নাকি আত্মহত্যা, নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা সামনে আনা হোক।
এদিন আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের পাশাপাশি দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাতেও শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ নিজে ওখানকার সমস্ত গুন্ডাদের পালন-পোষণ করেন। উদয়ন গুহর পোষা গুন্ডারাই খুন করেছে। এর আগেও খুন হয়েছে, এখন নিজেরাই নিজেদেরকে মারছে।
ভোটে জিততে উদয়ন গুহ বাংলাদেশে থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীজদের ঢোকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলে, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী সিতাই, শীতলকুচি, দিনহাটা হল অনুপ্রবেশকারীদের মুক্তাঞ্চল। সেখানে সবসময় গন্ডগোল হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়কের প্রশ্রয়েই এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ দিলীপের।