সালাহ-মানের দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন মানে, মিশরকে হারিয়ে প্রথমবার আফ্রিকার সেরা সেনেগাল
সালাহ-মানের দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন মানে, মিশরকে হারিয়ে প্রথমবার আফ্রিকার সেরা সেনেগাল
একজন যদি লিভারপুলের হৃদপিণ্ড হন, তবে অপর জন ফুসফুস। সাদিও মানে এবং মহম্মদ সালাহ-এর উপর ভর করে ফেলে আসা অতীত গৌরব ফিরিয়ে এনেছে লিভারপুল। এই দুই-এর যুগলবন্দীতে দীর্ঘ দিন পর প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। দুই জনের মধ্যে মাঠের ভিতরের সম্পর্ক যতটা মধুর, ঠিক ততটাই মধুর মাঠের বাইরের সম্পর্কও। কিন্তু এই দুই বন্ধুই আফ্রিকার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে রবিবার রাত্রে মুখোমুখি হয়েছিল আফ্রিকা কাপ অব নেশনস-এ।
সাদিও মানের সেনেগাল এবং মহম্মদ সালাহ-র নেতৃত্বে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। দুই বন্ধুর লড়াইয়ে যদিও শেষ হাসিটা হেসেছেন মানে-ই। টাইব্রেকারের সালাহের মিশরকে হারিয়ে প্রথম বার আফ্রিকা কাপ অব নেশনস চ্যাম্পিয়ন হল সেনেগাল।
রবিবার ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মিশর এবং সেনেগাল। একাধিক তারকা সমৃদ্ধ দুই দলের প্রধান আকর্ষন ছিলেন লিভারপুলের দুই নক্ষত্র। কিন্তু দু'জনেই ছিলেন অফ কালার। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে কোনও দলই গোলের দেখা পায়নি। ফিফা ক্রমতালিকায় ২০ নম্বরে থাকা সেনেগাল শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল ক্রমতালিকায় ৪৫ নম্বরে থাকা মিশরকে। দুই অর্ধেই আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল সেনেগালের। প্রথমার্ধে তারা একাধিক সুযোগ করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। একই রকম ভাবে সুযোগ নষ্টের বহর চলতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলের উপর ভর করে মাঝে মাঝে মিশর ঝটিকা আক্রমণ তুলে আনলেও তা থেকে কোনও গোল আসেনি।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল। সাত মিনিটে পেনাল্টি পায় আফ্রিকার এই দেশটি। কিন্তু স্পটকিক থেকে সোজা তা মিশরের গোলরক্ষক গাবাসকির হাতে মারেন মানে। পেনাল্টি বাঁচানো ছাড়াও গোটা ম্যাচে চারটি ক্ষেত্রে মিশরের নিশ্চিত পতন রোধ করেন তিনি। একই রকম ভাবে সেনেগালের গোলরক্ষক এডোয়ার্ড মেন্ডি বেশ কিছু ভাল সেভ করেছেন। বক্সের ভিতর থেকে ক্লোস রেঞ্জে মোট তিনটি শট বাঁচান চেলসির এই গোলরক্ষক। দুই দলের গোলরক্ষকের সৌজন্য নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ম্যাচ অতিরিক্ত সময় গড়ালেও ফলাফলে কোনও ফারাক হয়নি। অতিরিক্ত সময়েও প্রথমার্ধেও সেনেগালের আক্রমণই বেশি ছিল, যদিও শেষ ১৫ মিনিট কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে মিশর।
অতিরিক্ত সময়ের খেলার শেষেও কোনও ফলাফল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। টাই ব্রেকারে পাঁচটি শটের মধ্যে চারটি গোলে রাখে সেনেগাল। সেখানে মিশর গোল পায় মাত্র দু'টি শট থেকে। মহম্মাদ আবদেল মোনেম বাইরে মারেন এবং মোহানদ লাসিহেনর শট বাঁচিয়ে দেন মেন্ডি।