কোস্টারিকার 'অন্যায় আবদার', বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরে অযথা জটিলতা দুই দেশের
কোস্টারিকার 'অন্যায় আবদার', বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরে অযথা জটিলতা দুই দেশের
বিশ্বকাপের আগে প্রতিটা দেশই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। বিশ্ব ফুটবলের মেগা টুর্নামেন্টে নামার আগে প্রতিটা দলই দেখে নিতে চাইছে তারা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, বেলজিয়ামের মতো হাইপ্রোফাইল দলগুলির পাশাপাশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে কোস্টারিকা, কলোম্বিয়া, জাপানের মতো তথাকথিত পিছিয়ে থাকা দলগুলিও।
আর এই প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরেই অযথা জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে কোস্টারিকা। বৃহস্পতিবার ইরাকের বিরুদ্ধে বাসরা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল কোস্টারিকার। ইরাকের মাঠে এই ম্যাচটি আয়োজিত হওয়ার ফলে কুয়েতে যেখানে শিবির করেছে কোস্টারিকা সেখান থেকে ইরাকে খেলতে আসতে হতো। বুধবার স্থলপথে ইরাকে যায় কোস্টারিকার প্রতিনিধি দল। ইরাকে ঢোকার আগে সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগাতে চান নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু কোস্টারিকার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সেটা করতে দিতে চাননি। তাঁরা চেয়েছিলেন পাসপোর্টে স্ট্যাম্প ছাড়াই ইরাকে ঢুকতে। যেটা একে বারেই অসম্ভব। কোনও বিদেশি নাগরীক অন্য দেশে এলে সেখানে তাঁর পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগানো বাধ্যতামূলক। সেই নিয়মই পালন করতে চেয়েছিল ইরাকের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা কিন্তু কোস্টারিকা সেটি না মানায় তাদের প্রতিনিধি দলকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
নিজেদের দেশের প্রতিনিধি দলের অন্যায় আবদার না মানায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান কোস্টারিকার ফুটলাররা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার। সেই সময় কুয়েতে নিজেদের শিবিরেই ছিল দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে বিশ্বকাপের আয়োজকরা। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা। এর পর কুয়েত থেকে বিশেষ বিমানে কোস্টারিকা দলরে ইরাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রতিনিধি দল আর ইরাকে যায়নি। তবে, যেই ম্যাচ ঘিরে এত কিছু সেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গিয়েছে।