স্যোশাল মিডিয়ায় নিরাপদ থাকতে চাইলে এই ট্রিকগুলি জানতেই হবে
কীভাবে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থেকেও বিপদের ঝুঁকি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারেন তা দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমান যুগ হাই টেকের। উচ্চ প্রয়উক্তির এই দুনিয়ায় চলতে গেলে আপনাকেও প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়ে নিজের চলার পথে প্রতি মুহূর্তে সেটাকে ব্যবহার করে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হবে। যদি প্রযুক্তিকে ব্যবহার না করেন তাহলে প্রতি মুহূর্তে পিছিয়ে পড়বেন। ডিজিটাল যুগে তাই এর থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলে হবে না। আর প্রযুক্তিকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে গেলে সঠিক জ্ঞান চাই। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কীভাবে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থেকেও বিপদের ঝুঁকি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারেন তা দেখে নেওয়া যাক। [আরও পড়ুন : এই হোয়াটসঅ্যাপ 'ট্রিক'গুলি অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন]
হোয়াটসঅ্যাপ
আপনার প্রাইভেট চ্যাট সুরক্ষিত করতে 'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন' চালু রয়েছে। কেউ আপনার চ্যাট দেখতে পাবে না। এখন তো হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ডিলিট অপশনও চলে এসেছে। গ্রুপ চ্যাটে হোক বা প্রাইভেট চ্যাটে, চাইলে নিজের মেসেজ ডিলিট করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ফোন যদি চুরি যায়, তাহলে চোর আপনার ফোনের হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি, ভিডিও এমনকী ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে। নিজের অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখতে মোবাইলে, হোয়াটসঅ্যাপে পিন ব্যবহার করুন। যদি আপনার ফোন চুরি হয়ে যায় এবং আপনার অ্যাকাউন্ট লক করা না থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা নতুন সিম নিন। এবং এটি অন্য ফোনে নথিভুক্ত করুন। তাহলে আপনার পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ তৎক্ষণাৎ ডিঅ্য়াক্টিভেট হয়ে যাবে।
জি মেল
যদি আপনার মনে হয় কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করছে তাহলে অ্যাকাউন্টে কী চলছে তা আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। ইনবক্সের ডানদিকে নিচে 'লাস্ট অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভিটি' লেখা থাকবে। সেখানে ক্লিক করে দেখে নিন। যদি কিছু অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে উপরের দিকে সাইন আউট অব অল আদার ওয়েব সেশন-এ ক্লিক করুন এবং আপনার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। সোস্যাল মিডিয়া অ্যাপ, ওয়েবসাইটের মতো গুগল অ্যাকাউন্টের জন্যও অ্যাকসেস লাগবে। আর তার জন্য 'https:accounts.google.com'-এ যান, এবং সিকিউরিটির মধ্যে ক্লিক করুন কানেক্টেড সাইট এবং অ্যাপে।
ইনস্টাগ্রাম
আপনার ইনস্টাগ্রামের ছবি বা কমেন্ট সবাইকে দেখানোর প্রয়োজন নেই। তাই সবার প্রথমেই নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট করুন। অর্থাৎ আপনার ফলোয়াররাই শুধু আপনার ছবি দেখতে পাবে। নতুন করে ফলোয়ার হতে গেলে যে কোনও ব্যক্তিরই আপনার অনুমতি প্রয়োজন হবে। আর একটি বিষয় হল ম্যানুয়াল ফটো ট্য়াগিং। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে যান, 'ফটো অব ইউ' লেখায় ক্লিক করুন। মেনু বোতামে ক্লিক করুন এবং ট্যাগের অপশন বেছে নিন। অ্যাড ম্যানুয়ালি বোতামে ক্লিক করলে তা আপনাকে অবাঞ্ছিত ফটো ট্যাগিং থেকে রক্ষা করবে। এর জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপের অ্যাকসেস প্রয়োজন। এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য আপনাকে কম্পিউটার থেকে ইনস্টাগ্রামে লগ ইন করে এডিট প্রোফাইল অপশন বেছে নিতে হবে।
ফেসবুক
ফেসবুকে সুরক্ষিত থাকতেও আপনি লগ ইন ভেরিফিকেশন এবং অ্যালার্ট অপশনের ব্যবহার করতে পারেন, তবে আরও অনেক অপশনই রয়েছে। আপনি 'ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট' সেট করতে পারেন এবং দেখতে পারেন কোন কোন ব্রাউজার এবং অ্যাপস থেকে লগ ইন করেছেন। যেমন ধরুন আপনি কারও বাড়িতে গিয়েছেন, এবং সেখানে বন্ধুর ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছেন, কিন্তু বেরনোর সময় লগ অফ করতে ভুলে গেলেন। এই অপশনের মাধ্যমে আপনি যে কোনও ডিভাইস থেকে সাইন আউট করতে পারবেন। শুধুমাত্র ওই লিঙ্কে ক্লিক করুন যেখানে লেখা আছে 'End Activity'। যদি আপনি হেল্প পেজে পৌঁছে যান সেক্ষেত্রে ফেসবুক সিকিউরিটি চেকআপ দেখাবে। সেখান থেকে আপনি আপনার পুরনো লগ ইন দেখতে পাবেন। এখান থেকে সাইন আউট করে যান। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড বদলে দিন।
টুইটার
টুইটারের পাসওয়ার্ড বারবার বদলানো ছাড়াও আরও একটি সহজ উপায় হল 'লগইন ভেরিফিকেশন' ব্যবহার করুন। কম্পিউটারে টুইটারে সাইন ইন করার পর প্রোফাইল আইকনের ড্রপ ডাউন মেনুতে 'সেটিংস'-এ ক্লিক করে তারপর সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি সেটিংস-এ যান। লগইন ভেরিফিকেশন ব্যবহার করার আগে আপনার ইমেল আইডি নিশ্চিত করুন। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আপনি আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের সাহায্যও নিতে পারেন। নিয়মিত টুইটারের সেটিংস পেজে যান এবং অ্যাপে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনি দেখতে পারেবন আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোন অ্যাপ এবং ডিভাইস অ্যাকসেস করা হয়েছে।