জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রূপরেখার অভাব, হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের বাইরেও উপেক্ষিত বহু পরিকল্পনা
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রূপরেখার অভাব, হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের বাইরেও উপেক্ষিত বহু পরিকল্পনা
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস এলেই আমরা স্মরণ করি আমাজের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু বছরের অন্য সময় আমরা তা নিয়্ন্ত্রণের লেশমাত্র ভাবনা-চিন্তাও করি না। হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিতর্কিত বিষয় বাদ দিয়েও আমরা বহু স্কিম উপেক্ষা করে যাই। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশকে, দেশবাসীদেরও।
হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার পার্থক্যের বাইরে প্রশ্ন
বহু বিশেষজ্ঞ বারবারই হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির পার্থক্যকে ঘিরে নানা কাহিনি উপস্থাপন করে পুরো বিষয়টিতে জনঘোলা করার চেষ্টা করে থাকেন। তার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু অর্ধসত্য কাহিনি। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এই প্রতিবেদনে হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার পার্থক্যের বাইরে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।
হিন্দু-মুসলিম প্রজনন হারের পার্থক্যের অবসানে
সবথেকে বড় কথা হল একজন নারীর গড় সন্তান সংখ্যার থেকে হিন্দু হোক বা মুসলিম তিনি ক'জন সন্তান ধারণ করতে পছন্দ করেন অর্থাৎ তাঁর ভবিষ্যৎ নীতি কী হওয়া উচিত, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে সম্প্রতি দীর্ঘ বিতর্কিত হিন্দু-মুসলিম প্রজনন হারের পার্থক্যের অবসান ঘটিয়েছে।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে রিপোর্ট অনুয়ায়ী
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ১৯৯২ সালে হিন্দু মহিলাদের তুলনায় মুসলিম মহিলাদের গড়ে ১.১ জন বেশি সন্তান ধারণ আনুমানিক অনুমান করা হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এই ব্যবধানটি ০.৪২-এ নেমে এসেছে৷ গত ২০ বছরে হিন্দুদের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমেছে, সেখানে মুসলমানদের মধ্যে কমেছে ৩৫ শতাংশ।
২০৩০ সালের মধ্যে অভিন্নতার জায়গায় আসবে
মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হিন্দুদের তুলনায় বেশি ছিল এতদিন। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে জানা যাচ্ছে হিন্দু-মুসলিম প্রজনন হারের প্রবণতা ২০৩০ সালের মধ্যে অভিন্নতার জায়গায় চলে আসবে। কারণ যে কোনও দেশের কাছে ভবিষ্যতের জনসংখ্যা নীতির জন্য নারী প্রতি মোট শিশুর সংখ্যার থেকে অনেক শিশুর পছন্দ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আছে।
হিন্দু-মুসলিমদের সমান সংখ্যক শিশু জন্মের হার
এখনও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবাগুলি মেনে চলে না সবাই। গর্ভনিরোধক ব্যর্থতার কারণে অযাচিত জন্মও হয়। হিন্দু ও মুসলিম মহিলাদের মধ্যে নারী প্রতি শিশুর গড় সংখ্যার সামান্য পার্থক্য হল পরিবার পরিকল্পনার অভাব। যদি পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা সঠিকভাবে প্রদান করা হয়, তাহলে হিন্দু-মুসলিমদের সমান সংখ্যক শিশু জন্মের হার হতে পারে।
পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবাগুলি পালনের অভাব
বর্তমানে ভারতে সমস্ত ধর্মের মহিলারা এক বা দুটির বেশি সন্তান চান না। এই ধরনের ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটে যখন অবাঞ্ছিল জন্ম ঘটে। মহিলাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক সন্তান নেওয়ার ইচ্ছাকে সম্মান দেওয়া হয় না। পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবাগুলিতে সঠিকভাবে পালন এবং গর্ভনিরোধক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভাবের কারণেও সমস্যা হয়।
নীতি নির্ধারকদের যা করতে হবে জন্ম নিয়ন্ত্রণে
সমীক্ষা রিপোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ২২ শতাংশ মুসলিম ও ১৫ শতাংশ হিন্দু মহিলারা পরিবার পরিককল্পনার চাহিদা পূরণ না করার কথা জানিয়েছেন। অন্যান্য ধর্মের মহিলাদেরও কিছু অংশ পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদাগুলির কথা জানিয়েছেন। এখন নীতি নির্ধারকদের পরিবার পরিকল্পনার এই সমস্যা দূর করতে হবে।
বক্রী অবস্থায় শনির গোচর এই রাশিদের জীবনে শুরু হবে সাড়ে সাতি ও ধাইয়া